ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছিল দুই উইকেটে ৩২ রানে। কিন্তু সেখান থেকে দলটি গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানের লিড থাকা নিউজিল্যান্ড লক্ষ্য পায় মাত্র ৫৬। ১০ ওভারেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে ৯ উইকেটের স্বচ্ছ জয়ে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
জ্যাকব ডাফি দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩৮ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও আসে তার ঝুলিতে। দীর্ঘ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার শেষে দেরিতে পাওয়া টেস্ট অভিষেককে তিনি কাজে লাগাচ্ছেন অসাধারণভাবে। টানা দুই টেস্টে পেয়েছেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
নিউজিল্যান্ডের আরেক পেসার মাইকেল রে নিজের অভিষেক টেস্টেই নজর কেড়েছিলেন। ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নামের পাশে আরও তিন উইকেট যোগ করে তিনি। ডাফি–রে জুটি মূল স্কোয়াডের চোট সমস্যার সুযোগে একাদশে ঢুকে প্রভাব ফেলে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে।
দলের প্রধান চার পেসার না থাকা, এমনকি প্রথম ইনিংসের সফল ব্লেয়ার টিকনারের দ্বিতীয় ইনিংসে চোটে না খেলতে পারা, সবকিছু ছাপিয়ে দলকে জয় এনে দেন ডাফি-রে। সীমিত অপশন নিয়েও নিউজিল্যান্ড নিয়ন্ত্রণ হারায়নি এক মুহূর্তও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য সতর্কতার সঙ্গেই ছিল। ব্র্যান্ডন কিং ও কাভেম হজ মিলে রান নিয়ে যান পঞ্চাশের ঘর পর্যন্ত। তবে হঠাৎ ভুল সিদ্ধান্তে রান আউট হন কিং, আর একই ওভারে রে'কে ক্যাচ দেন শাই হোপ। সেখান থেকেই ধস নামতে শুরু করে দলের ব্যাটিং লাইনআপে।
ক্যাপ্টেন রস্টন চেইজের ব্যাটও দলকে টানতে পারেনি। নেতৃত্ব পাওয়ার পর ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই তার, গড়ও ১৫-এর কাছাকাছি। হজ ও ডাবল সেঞ্চুরিয়ান জাস্টিন গ্রেভস একটু প্রতিরোধ গড়লেও তা যথেষ্ট হয়নি। দ্রুতই শেষ হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের লেজ।
ছোট রান তাড়ায় অধিনায়ক টম লাথাম (৯) ফিরলেও ডেভন কনওয়ে (২৮*) ও কেন উইলিয়ামসনের (১৬*) দারুণ ব্যাটিংয়ে নিশ্চিত জয় পায় কিউইরা। চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটাই তাদের প্রথম জয়। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছে সাতটি ম্যাচ, জয়ের মুখ দেখেনি একবারও, হেরেছে ছয়টিতেই।