খেলোয়াড়ি জীবনে সাউথ আফ্রিকার জার্সিতে ১০১ টেস্টে ৭ হাজারের বেশি রান করেছেন কারস্টেন। ১৮৫ ওয়ানডেতে প্রায় ৭ হাজার রান করেছেন সাবেক বাঁহাতি এই ব্যাটার। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাঁর অধীনে ২০০৯ ও ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে ভারত। পরের বছর ঘরের মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরে তারা।
বিশ্বকাপ জেতার আগে টেস্টে ভারতকে শীর্ষেও তোলেন কারস্টেন। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর সাউথ আফ্রিকার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরের বছরই চাকরি ছাড়তে হয় তাকে। জাতীয় দলের কাজ ছেড়ে পরবর্তীতে হোবার্ট হারিকেন্সে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাট টাইটান্সের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০২২ সালে গুজরাটের ব্যাটিং কোচ থাকাকালীন ফ্র্যাঞ্চাইটি আইপিএলের চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।
২০২৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচ হয়েছিলেন কারস্টেন। যদিও ৬ মাস পরই পাকিস্তানের দায়িত্ব ছাড়েন সাউথ আফ্রিকান এই কোচ। এবার যুক্ত হলেন নামিবিয়ার সঙ্গে। আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বাড়তি কিছু যোগ করতে চান কারস্টেন। সেই সঙ্গে নামিবিয়ার ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কারস্টেন বলেন, ‘নামিবিয়া ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য দারুণ সম্মানের। হাই-পারফরম্যান্স ক্রিকেটীয় আবহ গড়ে তুলতে তাদের নিবেদন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞায় আমি দারুণ মুগ্ধ। তাদের সিনিয়র ছেলেদের দল ভালো পারফর্ম করছে এবং ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বাড়তি কিছু যোগ করতে মুখিয়ে আছি আমি।’
সবশেষ তিন (২০২১, ২০২২ ও ২০২৪) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলেছে নামিবিয়া। জায়গা করে নিয়েছে আগামী ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। যেখানে ‘এ’ গ্রুপ রয়েছেন ডেভিড ভিসেরা। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পেয়েছে পাকিস্তান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ডসকে। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে নামিবিয়া। ঘরের মাঠে হতে যাওয়া বিশ্বকাপেও কোয়ালিফাই করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা।