নিউজিল্যান্ডের করা প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানের জবাবে ক্যারিবীয়ানদের ইনিংস গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৬৭ রানে। এর মধ্যেও কিউইদের চার-চারটি ক্যাচ মিস হয়েছে, এর মধ্যে তিনটিই হেনরির বলে। আর অতিরিক্ত ২৮ রান। তবু ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়নি কিউইদের। শাই হোপ আর ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও বাকিদের ব্যাট ছিল প্রায় নির্বাক।
দিনের শেষ সেশনে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৩২ রান নিউজিল্যান্ডের। ফলে ৯৬ রানের লিড নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিকরা। ৯ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। তাদের শেষ উইকেটের লড়াই দ্বিতীয় দিন টিকেছে মাত্র ৩ বল। জ্যাক ফোকস লেগ সাইডে ক্যাচ দিয়েছেন জেইডেন সিলসের বলে।
এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই জন ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে দেন ফোকস। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন উইল ইয়ং। এরপর ইয়ং একটি সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন—হেনরির বলে আলিক আথানাজের এজ করলেও তা হাত ফসকে যায় ইয়ংয়ের।
যদিও উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে দেননি হেনরি। তিনি অ্যাঙ্গেল বদলে পরের ওভারেই ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে অ্যালিক আথানেজের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তিনি। ১২ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ১০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হোওয়ার চেষ্টা করেন শাই হোপ।
অন্যপ্রান্তে নড়বড়ে ছিলেন চন্দরপল। তিনি ৫ ও ২৪ রানে দুইবার জীবন পান। দুটি ক্যাচই ফেলেন ডেভন কনওয়ে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ। তাকে আর ইনিংস বড় করতে দেননি ডাফি। তার ব্যাক-অব-লেংথ বল গ্লাভসে লেগে লাথামের হাতে ধরা পড়েন হোপ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রান।
৯০ রানের জুটি ভাঙার পর ছন্দটা কিউই পেসাররাই নিয়ন্ত্রণে রাখেন। ফিরেই হেনরি এক ওভারেই তুলে নেন রোস্টন চেজ এবং জাস্টিন গ্রিভসকে—অ্যাওয়ে সুইংয়ে দুজনকেই পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। তখনও একপ্রান্ত আগলে খেলছিলেন চন্দরপল। তিনি টেভিন ইমলাচকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৩৪ রান। ব্যক্তিগত স্কোয়ার লেগে ঝাঁপিয়ে পড়া অসাধারণ ক্যাচে থামান চন্দরপলের লড়াই।
এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার আউট হয়েছেন ৫২ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচের দিকের ব্যাটারদের দুজন দুই অঙ্কে পৌঁছালেও তা বলার মতো ছিল না। তাদের দাঁড়াতেই দেননি ডাফি হেনরিরা। ডাফি এদিন অপ্রতিরোধ্য বোলিংয়ে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নেন। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হেনরির। আর ৩২ রানে দুটি উইকেট পান ফোকস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লাথাম ১৪ ও কনওয়ে ১৫ রান করে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন।