যদিও সূচিতে আছে বলেই খেলতে হবে এমন মন্তব্যও করেছেন প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক। রুটের এমন মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেননি ট্রাভিস হেড। পার্থ টেস্টে ৮৩ বলে ঝড়ো সেঞ্চুরিতে অজিদের জয়ের নায়ক হয়েছিলেন হেড। গুঞ্জন আছে দ্বিতীয় টেস্টে তাকেই ওপেনিংয়ে নামাতে পারে অজিরা।
তিনি মনে করেন আগেই অস্ট্রেলিয়া পিঙ্ক বলের ক্রিকেটকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা এই টেস্টকে সানন্দে স্বাগত জানিয়েছি। এই টেস্টকে পণ্য হিসাবে তুলে ধরতে পেরেছি এবং ভালো খেলেছি। সত্যি বলতে, গোলাপি বল, সাদা বল, লাল বল— এতে কিছু আসে যায়? গোলাপি বলের টেস্ট দেখতে নিঃসন্দেহে ভাল লাগে। প্রচুর মানুষ মাঠে আসেন। জিতলে খুব ভাল লাগবে। হারলে লাগবে না। দু’দলেরই আলাদা মতামত থাকতে পারে। তবে খেলাটার জন্য দিবা-রাত্রির টেস্ট খুব ভালো।'
হেড আরও যোগ করেন, 'আমরা টি-টোয়েন্টি, টি-টেনের কথা বলি। আলাদা আলাদা ফরম্যাট তৈরি হয়ে গিয়েছে। টেস্ট খেলাটা তো একই রকম আছে। এখনও পাঁচ দিনের খেলা হয়। শুধু আলাদা রংয়ের বলে খেলা হয় বলে পরিবেশটা অন্য রকম থাকে।'
এম উত্তাপের মাঝেই অজিদের একাদশে একটি সম্ভাব্য বদলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উসমান খাওয়াজার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠায় হেডকে ওপেন করানোর চিন্তা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রয়োজন হলে জ্যাক ওয়েদারাল্ডের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে বাঁ-হাতি হেডকে।
সে ক্ষেত্রে দলে ঢুকতে পারেন অলরাউন্ডার বিউ ওয়েবস্টার অথবা জশ ইংলিস। যদিও প্রথম টেস্ট জেতা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের ১৪ জনের স্কোয়াড অপরিবর্তিতই রেখেছে। সব মিলিয়ে, রুটের মন্তব্য আর হেডের জবাব—গাব্বার পিঙ্ক বল টেস্টের আবহকে আরও টানটান করে তুলেছে।
এর আগে রুট বলেছিলেন, 'ব্যক্তিগত ভাবে আমার পছন্দ নয়। জানি খেলাটা মশলাদার হয়। অস্ট্রেলিয়ায় দিন-রাতের টেস্ট সফল এবং জনপ্রিয়। অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডও ভাল। বুঝতেই পারছেন কেন আমরা এই টেস্ট খেলছি। দু’বছর পরেও হয়তো দিন-রাতের টেস্ট থাকবে। এখন এটা টেস্ট ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। তবে এ ধরনের সিরিজ়ে কি এই টেস্ট দরকার? আমার মনে হয় না। থাকলেও কিছু এসে যায় না।'