তারা দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ২৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। ১৩ রান নিয়ে রায়ান রিকেলটন ও ১২ রান নিয়ে এইডেন মার্করাম ব্যাটিং করছেন। তৃতীয় দিন শেষে ভারতের চেয়ে সাউথ আফ্রিকা এগিয়ে আছে ৩১৪ রানে। এর আগে বিনা উইকেটে ৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত।
ওপেনিং জুটিতে ভারত তুলে নিয়েছিল ৬৫ রান। লোকেশ রাহুল ২২ রান করে কেশভ মহারাজের শিকার হলে এই জুটি ভাঙে। দ্বিতীয় উইকেটে আরও ৩০ রান যোগ করেন ইয়াশভি জয়সাওয়াল ও সাই সুদর্শন। ৫৮ রান করা জয়সাওয়ালকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাইমন হার্মার।
ভারতের হয়ে আর কেউই জয়সাওয়ালের চেয়ে বেশি রান করতে পারেননি। এরপর ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে রীতিমতো ধস নামে ১২২ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলে আরও ৫ উইকেট। সেখান থেকে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কোনোমতে তারা দুইশ পাড় করে। শেষদিকে ওয়াশিংটন সুন্দর ৯২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন।
আর কুলদীপ যাওদব ১৩৪ বল মোকাবেলা করে ১৯ রান করেন। তবে কুলদীপ একপ্রান্তে প্রতিরোধ গড়লেও আর কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। সাউথ আফ্রিকার হয়ে একাই ৬ উইকেট নিয়েছেন জানসেন, তিনি খরচ করেছেন মাত্র ৪৮ রান। হার্মার নেন ৩ উইকেট। বাকি এক উইকেট মহারাজের।
বল-বাই-বল রেকর্ড চালু হওয়ার পর এক ইনিংসে এত বাউন্সারে এত উইকেট আর কেউ নেননি ভারতের মাটিতে। ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাদেজা, নীতিশ কুমার রেড্ডি ও জসপ্রিত বুমরাহকে শর্ট বলে আউট করে ব্যাটিং করাই যেন কঠিন করে তুলেছিলেন জানসেন। ইয়ান বোথামের জন্মদিনে তার এই পারফরম্যান্স যেন ১৯৮০ সালের জুবিলি টেস্টে বোথামের শতক ও ১৩ উইকেটের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যের মতো। এর আগে কলকাতা টেস্টে জিতে এরই মধ্যে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে সাউথ আফ্রিকা।