ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে শক্ত বার্তা দিয়েছিলেন শেই হোপ। তবে সেই আগ্রাসী শুরু বেশিক্ষণ টেকেনি। এরপরই ধস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে। শুরুতে মার খাওয়ার পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন কিউই পেসার জ্যাকব ডাফি, নেন চারটি উইকেট। সহজ জয় পেয়ে সিরিজও জিতে নেয় কিউইরা।
প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪০ রানে থামে। নিউজিল্যান্ড জবাবে ২৬ বল হাতে রেখে সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন ডাফি। পাঁচ ম্যাচে মোট ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল। তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে নামেন শাই হোপ। প্রথম ওভারে ছক্কা ও চার মারলেও দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন অ্যালিক আথানেজ। এরপর তৃতীয় ওভারেই আসে ডাফির দারুণ স্পেল! এক ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি।
ডাফির শর্ট বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন হোপ (১১)। আকিম ওগিস (৮) বোল্ড হন গতির কাছে, আর শেরফান রাদারফোর্ড শূন্য রানে ফেরেন বাজে শটে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে। রাদারফোর্ডের জন্য এটি ছিল চার ইনিংসে তৃতীয় ‘ডাক’, গত ১২ ইনিংসে পঞ্চমবার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি।
২১ রানে চার উইকেট হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিডল অর্ডারে কিছুটা লড়াই করেন রস্টন চেইজ, করেন ৩২ বলে ৩৮ রান। নিচের সারিতে রোমারিও শেফার্ড তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় ২২ বলে ৩৬ রান করে দলকে ১৪০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
কিন্তু সেই রান লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টিম রবিনসন ও ডেভন কনওয়ে ৭ ওভারে তোলেন ৬৯ রান। ২৪ বলে ৪৫ রান করে শেফার্ডের বলে বোল্ড হন রবিনসন, রাচিন রবীন্দ্র করেন ২১ রান।
অপরাজিত থাকেন কনওয়ে, করেন ৪২ বলে ৪৭। মার্ক চ্যাপম্যান ১৩ বলে ২১ রান করে দুটি ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে এখন দুই দল মুখোমুখি হবে ওয়ানডে সিরিজে। তিন ম্যাচের এই সিরিজ শুরু হবে রবিবার, ক্রাইস্টচার্চে।