অকল্যান্ডে প্রথম দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ ছিল ১-১ সমতায়। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় পায় ৭ রানে, পরদিনই ঘুরে দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ড জেতে ৩ রানে। উত্তেজনাপূর্ণ ধারাবাহিকতার সেই রেশ নেলসনের তৃতীয় ম্যাচেও বজায় থাকল।
স্যাক্সটন ওভালে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে গ্লেন ফিলিপস ও টিম সেইফার্ট দারুণ শুরু এনে দেন। যদিও মিডল অর্ডারে কেউ ইনিংস বড় করতে পারেনি। ব্যাটারদের ছোট কিন্তু কার্যকর কিছু ইনিংস কিউইদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়।
কিউইদের হয়ে ডেভন কনওয়ে করেন ৩৪ বলে ৫৬ রান। ২৪ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ড্যারিল মিচেল। এ ছাড়া রবিনসন ২১ বলে ২৩, রাচিন রবীন্দ্র ১৫ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন।
জবাবে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ড্যারিল টাফির গতি আর ইশ সোধির ঘূর্ণিতে একপর্যায়ে ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারায় দলটি। তবে এরপরই শুরু হয় নাটকীয়তা। লোয়ার অর্ডারের রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গার জুটি গড়ে তোলেন প্রতিরোধ।
নবম উইকেটে তাদের ৭৮ রানের জুটি শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, টেস্ট খেলুড়ে সব দলের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেই সর্বোচ্চ। শেফার্ড ৩৪ বলে ৪৯ এবং স্প্রিঙ্গার ২০ বলে ৩৯ রান করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ সামলে জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।
নবম উইকেটে আগের জুটির রেকর্ডটিও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০২২ সালে ব্রিজটাউনে শেফার্ড ও আকিল হোসেন করেছিলেন ৭২ রান। সেদিন ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল দলটি ১ রানে, এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ব্যবধান ৯ রানের।
বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ও আকিম অগাস্টের রানআউটে ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরা হন ইশ সোধি। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। আগামীকাল নেলসনেই অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।