শেষ পাঁচ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৯১ রান। সেখান থেকে রোমারিও শেফার্ড ও রভম্যান পাওয়েল সপ্তম উইকেটে মাত্র ২৪ বলে ৬২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরান দলকে। জ্যাক ফকসের ১৬তম ওভারে পাওয়েল হাঁকান তিনটি ছক্কা। এরপরের ওভারে শেফার্ড মারেন আরও দুটি ছক্কা। তবে সেই ওভারেই মিচেল সান্টনারের বলে ক্যাচ তুলে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে ছিল একটি চার ও চারটি ছক্কা।
এরপর ম্যাথু ফোর্ড মাঠে নেমে শুরু করেন ছক্কার ঝড়। ১৮তম ওভারে কাইল জেমিসনকে দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি, আরেকটি আসে পাওয়েলের ব্যাট থেকে। সমীকরণ নেমে আসে শেষ দুই ওভারে ৩০ রানে। জ্যাকব ডাফির করা ১৯তম ওভারে আসে ১৪ রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬। প্রথম তিন বলে আসে দুটি বাউন্ডারি, তার মাঝেই একটি নো-বলও ছিল। তবে ফ্রি হিট থেকে আসে মাত্র এক রান, চতুর্থ বলেই আউট হন পাওয়েল।
রভম্যান পাওয়েল আউট হন ১৬ বলে ৪৫ রানে, ইনিংসে ছিল একটি চার ও ছয়টি ছক্কা। শেষ দুই বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ছয় রান। নতুন ব্যাটার আকিল হোসেন এক রান নেয়ার পর শেষ বলে ফোর্ডে নিতে পারেন মাত্র এক। ১৩ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গড়ে দেন মার্ক চ্যাপম্যান। মাত্র ২৮ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে তিনি মারেন ৬ চার ও ৭ ছক্কা। তার ব্যাটে ২০৭ রানের সংগ্রহ পায় কিউইরা। টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টিম রবিনসন করেন ২৫ বলে ৩৯, আর ডেভন কনওয়ে খেলেন ২৪ বলে ১৬ রানের ইনিংস। শেষদিকে ড্যারিল মিচেল ১৪ বলে ২৮ ও অধিনায়ক সান্টনার ৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রস্টন চেজ নেন দুটি উইকেট। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা হাঁকান ১২টি ছক্কা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা হাঁকান ১৮টি ছক্কা। সবমিলিয়ে এই ম্যাচে মোট ৩০টি ছক্কা দেখা গেছে।