সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ভারতের। ১০ বলে পাঁচ রান করে শুরুতেই ফিরে গেছেন শুভমান গিল। ভারতের অধিনায়ক হ্যাজেলউডের গুড লেংথের বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। ২০ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটি ৪৯ রানে হারায় পাঁচ উইকেট।
চার বলে দুই রান করা সাঞ্জু স্যামসন নাথান এলিসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান। এরপর একই ওভারে সূর্যকুমার যাদব (১) এবং তিলক ভার্মাকে (০) ফিরিয়ে দেন হ্যাজেলউড। অভিষেক শর্মাকে উপযুক্ত সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন অক্ষর প্যাটেলও।
১২ বলে সাত রান করা এই ব্যাটার রান আউট হয়ে ফিরে যান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলের রানের খাতায় ৫৬ রান যোগ করেন হার্শিত রানা এবং অভিষেক। ভারতের ইনিংসে কেবল এই দুজনই দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন।
৩৭ বলে ৬৮ রান করে ইনিংসের ১৯তম ওভারে ফিরে যান অভিষেক। এলিসের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৩৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন হার্শিত। ১৮.৪ ওভারে ১২৫ রানে থামে ভারত। মাত্র ১৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন হ্যাজেলউড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৫১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস থামান বরুণ চক্রবর্তী। লং অফে ক্যাচটি নেন তিলক। অধিনায়ক মিচেল মার্শ ফিরে যান ২৬ বলে ৪৬ রান করে। এরপর ২০ বলে ২০ রান করা জশ ইংলিশকে এলবিডব্লিউ করে থামান কুলদিপ যাদব।
টিম ডেভিড অবশ্য সফল হননি। দুই বলে এক রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে টানা দুই বলে ১০ বলে ১৪ রান করা মাইকেল ওয়েনকে এবং রানের খাতা খুলতে না পারা ম্যাথু শর্টকে ফেরান জসপ্রীত বুমরাহ।
ওয়েনের ক্যাচটি উইকেটের পেছন থেকে নেন স্যামসন। শর্টকে বোল্ড করেন তিনি। মার্কাস স্টইনিস ছয় বলে ছয় এবং জ্যাভিয়ের বার্টলেট শুন্য রানে অপরাজিত থেকে ৪০ বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
 
             
                           
           
   
        