সীমান্তে প্রাণ হারালেন ৩ ক্রিকেটার, পাকিস্তানে খেলবে না আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক
সীমান্তে প্রাণ হারালেন ৩ ক্রিকেটার, পাকিস্তানে খেলবে না আফগানিস্তান
তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে আফগান বোর্ডের শোক। ছবি: এসিবি ফেসবুক।
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বহু আগে থেকেই স্পষ্ট। এবার এর সরাসরি প্রভাব পড়ল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। উর্গুন সীমান্তে সংঘাতে তিন আফগান ক্রিকেটারের মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান।

শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে নিয়ে এই ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। নভেম্বরের ১৭ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মূল লক্ষ্য ছিল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা।

তবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এক বিবৃতিতে জানায়, উর্গুন জেলায় পাকিস্তানি হামলায় নিহতদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটারও ছিলেন, যারা একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ হারান।

প্রাণ হারানো ক্রিকেটারদের ছবিসহ শোক প্রকাশ করে আফগান বোর্ড বিবৃতিতে বলেছে, 'এই ঘটনা কেবল একটি প্রাণহানিই নয়, বরং গোটা দেশের ক্রীড়া সমাজের জন্য একটি বড় ক্ষতি। পাক্তিতায় শহীদ হওয়া ক্রিকেটারদের প্রতি সম্মান জানাতে ও শোকপ্রকাশের নিদর্শন হিসেবে আমরা পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করছি।'

‘পাকিস্তানি শাসকদের কাপুরুষোচিত হামলা’ হিসেবে ঘটনাটিকে উল্লেখ করে এসিবি প্রকাশ করেছে তীব্র ক্ষোভ। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সম্প্রতি বাড়তে থাকা উত্তেজনা ও সহিংসতার কারণে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে।

এই সিরিজে প্রাথমিক পর্বে দুইবার মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের। ১৭ নভেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে ও পরে ২৩ নভেম্বর। আফগানিস্তান এই সিরিজ থেকে সরে যাওয়ায় পুরো টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এর আগে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে ও চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের মাটিতে খেলেছে আফগানিস্তান। তবে সেসব টুর্নামেন্টে সরাসরি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ ছিল না। এবারই প্রথম পাকিস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয়ার কথা ছিল আফগানদের।

আরো পড়ুন: আফগানিস্তান