টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ার পর বর্তমানে শুধুই ওয়ানডে ক্রিকেটে সক্রিয় আছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর জাতীয় দলে তাদের দেখা যায়নি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে রাখা হলেও ওয়ানডে অধিনায়কত্ব গেছে শুভমান গিলের হাতে।
এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে আগারকার বলেন, 'দেখুন তারা (রোহিত ও কোহলি) এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় দলের অংশ। দুই বছরের মধ্যে, আমরা জানি না পরিস্থিতি কেমন হবে। তাহলে শুধু তারা দুজনই কেন? আরও কিছু তরুণ খেলোয়াড় এখানে থাকতে পারে (যারা টুর্নামেন্টে নাও খেলতে পারে)।'
রোহিত এখন ৩৮, কোহলি ৩৬। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। প্রতিটি সিরিজে পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে কি তাদের অবস্থান নির্ধারিত হবে? আগারকার সেই ধারণার সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন।
'এটা (প্রতি ম্যাচে পরীক্ষায় ফেলা) একটু বোকামি হবে, তাই না? যখন কিনা একজনের গড় ৫০-এর বেশি এবং অন্যজনের গড় ৫০-এর কাছাকাছি। তাদের প্রতিটি ম্যাচে পরীক্ষায় ফেলবেন না।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'তাদের পরীক্ষায় ফেলা হচ্ছে না, যা অর্জন করার ছিল, তারা তা অর্জন করেছে। কেবল ট্রফিই জেতেনি, রানও করেছে। তাই এমন নয় যে, যদি তারা দুজনেই এই সিরিজে রান না করে, তাহলে তারা সেখানে (বিশ্বকাপে) থাকবে না অথবা যদি তারা তিনটি সেঞ্চুরি করে, (সেই কারণেই) তারা ২০২৭ সালে খেলবে।'
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে রবিবার, পার্থে। এই সিরিজেই হয়তো মাঠে ফিরতে পারেন রোহিত ও কোহলি। তবে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রাখা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিতে চায় নির্বাচক প্যানেল।