আগের দিনের ২ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন টনি ডি জর্জি ও রায়ান রিকেলটেন। ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা। শাহীন আফ্রিদির ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ডি জর্জি। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি বাঁহাতি ব্যাটারের। ৪৭ বলে ১৬ রান করে ফেরেন ডি জর্জি। একটু পর আউট হয়েছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবসও।
দিনের তৃতীয় ওভারে নোমানের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল যায় প্রথম স্লিপে থাকা সালমান আলী আঘার হাতে। মাত্র ৮ বল খেলা স্টাবস আউট হয়েছেন ২ রানে। পরবর্তীতে জুটি গড়ে তোলেন রিকেলটন ও ব্রেভিস। তাদের দুজনের ব্যাটেই একশ পার করে সাউথ আফ্রিকা। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও সেটা দারুণভাবে সামলে নেন তারা দুজন।
নোমানকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে ৫১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ব্রেভিস। যদিও একটু পরই আউট হয়েছেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনারের লেগ স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন সাউথ আফ্রিকান ব্যাটার। ৫৪ বলে ৫৪ রান করেছেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার আগে আউট হয়েছেন রিকেলটন। ১৪৫ বলে ৪৫ রান করে সাজিদ খানের বলে সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
থিতু হওয়া ব্রেভিস ও রিকেলটনকে হারানোর পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি সাউথ আফ্রিকার আর কোনো ব্যাটার। শেষের দিকে কাইল ভেরেইনা১৯ ও সাইমন হার্মার ১৪ রান করেছেন। সাউথ আফ্রিকার ১৮৩ রানে অল আউট হওয়ার দিনে চারটি করে উইকেট পেয়েছেন নোমান ও শাহীন আফ্রিদি। দুইটি উইকেট নিয়েছেন সাজিদ। দুই ইনিংস মিলে নোমানের শিকার ১০ উইকেট। ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার এমন কীর্তি গড়লেন তিনি।