২০২২ সালে দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আফ্রিদি। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। ফেরার পর থেকেই পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। কায়েদ এ আজম ট্রফির ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৬ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০২৪ সালে ছন্দে ছিলেন আফ্রিদি। সবমিলিয়ে নিয়েছেন ৫৩ উইকেট। চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
৫৭ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৯৮ উইকেট আছে আফ্রিদির। এমন পারফরম্যান্সেই ৩৮ বছরে এসে পাকিস্তানের টেস্ট দলে ডাক পড়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ছুঁতে যাওয়া বাঁহাতি স্পিনারের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও এটাকে পাত্তা দেননি আজহার। পাকিস্তানের লাল বলের প্রধান কোচ জানান, বয়স কোনো ব্যাপার না, আফ্রিদি ম্যাচে ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা রাখে। সেই সঙ্গে তিনি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, আফ্রিদি কোনো নেট বোলার নয়।
এ প্রসঙ্গে আজহার বলেন, ‘সে আমাদের ১৬ সদস্যের মূল স্কোয়াডের অংশ। প্রথমে আমরা ১৮ জনের দল ঘোষণা করেছিলাম, পরে ১৬ জনে নামিয়ে আনি। সে কোনো ‘নেট বোলার’ হিসেবে নয়, মূল স্কোয়াডের অংশ হিসেবেই রয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না আপত্তির জায়গাটা কোথায়। গত দুই মৌসুমে সে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে — গত বছর ৫৩ উইকেট নিয়েছে, এ বছর ২৭টি।’
‘৮০ উইকেট পাওয়া কোনো বোলার অবশ্যই সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। বয়স এখানে কোনো বিষয় নয়; আসল ব্যাপার হলো ম্যাচে ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা, আর আসিফ সে ক্ষমতা রাখে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো না খেললেও, ঘরোয়া ক্রিকেটে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে।’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখনো পর্যন্ত ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। তিনটি চক্র শেষ হয়ে গেলেও এখনো ফাইনাল খেলতে পারেনি তারা। সবশেষ চক্রে ১৪ ম্যাচের মাত্র পাঁচটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিলেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান-শান মাসুদরা। নতুন চক্রে পাকিস্তানের শুরুটা হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ক্রিকেটাররা সবাই খেলার ছন্দে থাকায় ইতিবাচক চিন্তা করছেন আজহার।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের নতুন চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের প্রথম ম্যাচ, যেখানে আমাদের খেলোয়াড়রা পূর্ণ খেলার ছন্দে রয়েছে। এর আগে অনেকটা সময় তারা হানিফ মোহাম্মদ ট্রফি, কাউন্টি ক্রিকেট বা এশিয়া কাপে ব্যস্ত ছিল। এখন সবাই খেলার রিদমে আছে, যা আমাদের জন্য ইতিবাচক।’