২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ব্রিসবেন টেস্টের শেষ দিনে হানা দেয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত বেসরিক বৃষ্টিতে খেলার বাকি অংশ মাঠে গড়ায়নি। এমন অবস্থায় ড্রেসিং রুমে বসে অবসর কাটাচ্ছিলেন ক্রিকেটার। হঠাৎ করেই ক্যামেরার লেন্স খুঁজে নেয় অশ্বিনকে। সেই সময় বিরাট কোহলিকে কিছু একটা বলার পাশাপাশি তাকে আলিঙ্গন করেন তিনি। খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ডানহাতি এই সাবেক স্পিনার।
পরবর্তীতে অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অশ্বিনও। মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার সুযোগ থাকলেও সেসব চিন্তা না করে সেদিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন তিনি। অবসর নেয়ার সঙ্গে দুই-তিনজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ৩৯ বছর বয়সি অশ্বিন তাদের সবাই চেয়েছিলেন যাতে আরও কিছুদিন খেলে যান। গুঞ্জন উঠেছিল, গম্ভীর কোচ হয়েই তাকে সরিয়ে দিয়েছেন। তবে অশ্বিন নিশ্চিত করেছেন, তাকে কেউ বলেনি দলে জায়গা নেই কিংবা সরে যাও।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘কেউ আমাকে বলেনি তোমার চলে যাওয়া উচিত, কেউ আমাকে এটাও বলেনি দলে তোমার জায়গা নেই। সত্যি বলতে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দুই-তিনজন মানুষ আমাকে বলেছিল এটা না করতে। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। এমনকি তারা চেয়েছিল আমি আরও খেলি।’
অবসর নেয়ার আগে অধিনায়ক রোহিত ও প্রধান কোচ গম্ভীরের সঙ্গেও কথা হয়েছিল অশ্বিনের। তারা দুজনই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও একটু ভাবতে বলেছিলেন। যদিও তাদের কথায় কান দেননি। ডানহাতি সাবেক স্পিনারের অবসরের সময় রোহিত জানিয়েছিলেন, তাকে অনুরোধ করে অ্যাডিলেড টেস্ট খেলিয়েছিলেন। এত কিছুর মাঝেও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারের সঙ্গে খুব বেশি কথা হয়নি অশ্বিনের।
তিনি বলেন, ‘রোহিত শর্মাও আমাকে বলেছে এটা নিয়ে আরেকটু চিন্তা করো, গৌতি ভাইও (গৌতম গম্ভীর) ব্যাপারটা নিয়ে আমাকে আবারও ভাবতে বলেছিলেন। কিন্তু অজিত আগারকারের সঙ্গে খুব বেশি কথা বলিনি। যখন অবসরের মতো বিষয় আসে তখন এগুলো একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তারা তাদের মতামত জানিয়েছে।’
অবসরের আগে তিন সংস্করণ মিলে ২৮৭ ম্যাচে ৭৬৫ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। ডানহাতি অফ স্পিনার সবচেয়ে বেশি সফল টেস্টে। ১০৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৫৩৭ উইকেট। বোলিংয়ের পাশাপাশি ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরিও আছে তাঁর। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০১৬ সালে ভারতের হয়ে এশিয়া কাপ জিতেছেন অশ্বিন।