সিএএন এক বিবৃতিতে জানায়, সিরিজের প্রথম ম্যাচের ঠিক ১৫ মিনিট আগে লামিচানে নিজে থেকেই ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর টিম ম্যানেজমেন্টের সুপারিশে পরের দুটি ম্যাচের জন্য তাকে বাদ দেয়া হয়। বোর্ডের ভাষায়, এমন এক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের আচমকা সরে দাঁড়ানো পুরো দলের ওপর ‘গুরুতর প্রভাব’ ফেলে।
জানা গেছে, ম্যাচ খেলার মতো মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না লামিচানে। ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে জানা যায়, এই লেগ স্পিনার পরে দলের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন এবং জানান, প্রথম ম্যাচের সময় তিনি মানসিকভাবে ঠিক ছিলেন না বলেই খেলেননি।
তবে লামিচানেকে ছাড়াই দারুণ সাফল্য পেয়েছে নেপাল। শারজাহতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা ২-১ ব্যবধানে হারায় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় আসে ১৯ রানে, যা ছিল আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে নেপালের প্রথম জয়।
লামিচানে নেপালের সবচেয়ে পরিচিত আন্তর্জাতিক মুখ। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলার পাশাপাশি দেশের হয়ে ওয়ানডেতে ৪২ ম্যাচে ১০০ উইকেট নিয়ে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি করা বোলার তিনি। টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুততম শতকের তালিকায় তার অবস্থান দ্বিতীয়, রশিদ খানের ঠিক পরই।
মাঠের বাইরের বিতর্কও আছে লামিচানেকে ঘিরে। ধ*র্ষণের অভিযোগে একসময় কারাবন্দী হয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার এবং ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে অবশ্য সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং তিনি খেলায় ফিরেছিলেন।