প্রথম ম্যাচের তুলনায় ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা ভালো উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় নেপাল। যদিও শুরুটা ভালো ছিল না। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে তারা হারায় কুশল ভুর্তেল ও রোহিত পাউড়েলকে। সপ্তম ওভারে রানআউট হয়ে ফিরে যান কুশল মাল্লা, তখন স্কোরবোর্ডে ছিল তিন উইকেটে ৪৩ রান।
চাপের মুহূর্তে ইনিংস গড়ে তোলেন আসিফ শেখ ও সান্দিপ জরা। এই দুই ব্যাটার চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১০০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন আসিফ, জরা করেন ৩৯ বলে ৬৩। ইনিংসের শেষ দিকে গুলসান ঝা ও মোহাম্মদ আদিল আলমের কিছু কার্যকর শটে স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৭৩।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল খুবই মন্থর। প্রথম পাঁচ ওভারে দলীয় রান ছিল মাত্র ৭। ৩৪তম বলে আসে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা কখনোই ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারেই অলআউট হয় তারা ৮৩ রানে।
নেপালের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন পেসার মোহাম্মদ আদিল আলম। ২১ বছর বয়সী এই বোলার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে চার ওভারে ২৪ রানে নেন চার উইকেট। লেগ স্পিনার কুশল ভুর্তেল নেন তিন উইকেট মাত্র ১৬ রানে। অন্য বোলাররাও তাদের ভূমিকা রাখেন।
এই জয় সহযোগী দেশ হিসেবে নেপালের জন্য একটি বড় অর্জন। কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে তাদের এটি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং সেখানেই প্রথম সিরিজ জয়। শুধু তাই নয়, কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ও এটি কোনো সহযোগী দেশের—টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের, যারা ২০১৬ সালে শারজাহতেই জিম্বাবুয়েকে ৮১ রানে হারিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্যও এটি একটি অস্বস্তিকর পরিসংখ্যান—টি-টোয়েন্টিতে কোনো সহযোগী দেশের বিপক্ষে তাদের ৮৩ রান এখন সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের করা ৮৮ ছিল আগের রেকর্ড।
সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার, একই মাঠে। নেপাল সেখানে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করতে চাইবে, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে থাকবে সম্মান বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।