শনিবার শারজাহতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নেপাল প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে তোলে ১৪৮ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৯ রান। নেপাল ম্যাচটি জিতে নেয় ১৯ রানে।
এই সিরিজকে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগেই ‘ঐতিহাসিক’ সিরিজ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল। তবে দলটি এখানে পাঠিয়েছে দ্বিতীয় সারির দল। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে থাকায় নিয়মিত খেলোয়াড়রা বিশ্রামে আছেন। স্পিনার আকিল হোসেন নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অভিষেক হয়েছে চারজন ক্রিকেটারের।
নেপাল দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত পাউড়েল। তিনি ব্যাট হাতে ৩৫ বলে ৩৮ রান করেন এবং বল হাতে ৩ ওভারে ২০ রানে এক উইকেট নেন। দুই বিভাগেই অবদান রাখায় তাকে ম্যাচসেরা নির্বাচিত করা হয়। দলের ইনিংস মেরামতের মূল কাজটাও করেন তিনিই। ইনিংসের শুরুতে নেপাল ১২ রানের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনারকে।
চতুর্থ উইকেটে রোহিতের সঙ্গে কুশাল মাল্লা ৪৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন। মাল্লা ২১ বলে ৩০ রান করেন ২ চার ও ২ ছক্কায়। এই জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় নেপাল। এরপর ঝা (২২ রান) ও আইরি (১৭ রান) শেষদিকে স্কোরটিকে দেড়শর কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত তারা থামে ১৪৮ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বোলিংয়ে সফল ছিলেন জেসন হোল্ডার। এক ওভারে তিন উইকেটসহ তিনি ২০ রানে চার উইকেট নেন। অভিষিক্ত নাভিন বিদেইসি তিনটি উইকেট নেন মাঝের ওভারে। নেপালের মিডল অর্ডার ভেঙে দেওয়ার কাজটা করেন এই দুই বোলার।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওভারে রান আউট হন কাইল মেয়ার্স। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। অভিষিক্ত ওগিস ৭ বলে ১৫, আমির জাঙ্গু ২২ বলে ১৯, এবং কেসি কার্টি ও হোল্ডার দ্রুত ফিরে গেলে ৭৬ রানে ছয় উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
বিদেইসি ২২ রান করেন, তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষদিকে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (১৪ বলে ১৯) এবং অধিনায়ক আকিল হোসেন (৯ বলে ১৮) কিছুটা লড়াই করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯তম ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে কারান কার্টি ম্যাচের মোড় প্রতিপক্ষের দিকে ঘুরিয়ে দেন। শেষ ওভারে ভুর্তেলের নেয়া বাউন্ডারির কাছের ক্যাচে অ্যালেন আউট হলে নিশ্চিত হয় নেপালের জয়। সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।