৪২ রানের জয়ে চলতি এশিয়া কাপের চলতি আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। স্বাগতিকদের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার আলিশান শারাফু ও মুহাম্মদ ওয়াসিম। ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলে শারাফু ফিরলেও অধিনায়ক ওয়াসিম একাই টেনেছেন আরব আমিরাতকে। খেলেছেন ৫৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতেই ১৭২ রানের পুঁজি পায় তারা। ওমানের সঙ্গে পাওয়া জয়ে সুপার ফোরে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল আরব আমিরাত। শেষ ম্যাচে পাকিস্তান হারাতে পারলেই সেরা চারে যাবে তারা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দুর্দান্ত এক শুরু এনে দেন শারাফু এবং ওয়াসিম। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান তোলে স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লে শেষেও একই ধারায় রান তুলতে থাকেন তারা দুজন। ওয়াসিম একটু দেখেশুনে খেললেও শারাফু ছিলেন আক্রমণাত্বক।
৭ চার ও এক ছক্কায় ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শারাফু। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।জিতেন রামানন্দীর লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। শারাফুর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৫১ রান। তাঁর বিদায়ে ভাঙে ওয়াসিমের সঙ্গে ৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।তিনে নামা আসিফ খান অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি।
সময় শ্রীভাস্তর বলে ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। পরবর্তীতে মোহাম্মদ জুহাইবকে সঙ্গে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রান বাড়িয়েছেন। ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ওয়াসিম। স্বাগতিকদের অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন শেষ ওভারে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে। তাদের হয়ে জুহাইব ২১ ও হার্শিত কৌশিক ১৯ রান করেছেন। ওমানের হয়ে দুইটি উইকেট পেয়েছেন রামানন্দী।
জয়ের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওমান। জুনাইদ, জায়েদউল্লাহ, হায়দারদের বোলিংয়ের সামনে কেউই সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। ওমানের হয়ে আরিয়ান ২৪, অধিনায়ক জাতিন্দার সিং ২০ ও বিনায়েক শুকলা ২০ রান করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে জুনাইদ চারটি উইকেট নিয়েছেন। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন হায়দার ও জায়েদউল্লাহ।