জিম্বাবুয়ে সফরে দুই টেস্টের সিরিজ জয়ে বল হাতে অবদান রেখেছিলেন হেনরি। প্রথম ম্যাচে ৯০ রানে ৯ উইকেট এবং দ্বিতীয় টেস্টে ৫৬ রানে নেন আরও ৭ উইকেট। দুই টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়ে সিরাজ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। মাসসেরার দৌড়ে থাকা সিলসও বল হাতেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে সামনে থেকে অবদান রাখেন তিনি।
তিন ম্যাচের সিরিজে ১০ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। শেষ ম্যাচে তো ক্যারিয়ার সেরা ১৮ রানে ৬ উইকেটও নিয়েছেন। এমন পারফরম্যান্সে মাসসেরার দৌড়ে থাকলেও হেনরির মতো পুরস্কার জেতা হয়নি তারও। আগষ্ট মাসে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই সিলস ও হেনরিকে ছাড়িয়ে গেছেন সিরাজ। ইংল্যান্ড সফরে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে বল হাতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। শেষ ম্যাচে এসে বনে গেছেন নায়ক।
ওভালে জিততে পারলেই সিরিজ জিতে নিতো ইংলিশরা। তবে ম্যাচের শেষ দিনে এসে সেটা হতে দেননি সিরাজ। সুইং ও গতির মিশেলে জেমি স্মিথ, গাস অ্যাটকিনসনদের কাজটা কঠিন করে দেন ডানহাতি এই পেসার। সকালের শুরুতে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের ৬ রানের অবিশ্বাস্য এক জয় নিশ্চিত করেন। এমন জয়ে সিরিজ ড্র করে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া সিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫টি।
শেষ টেস্টে ৯ উইকেট নিয়েই আগষ্টের মাসসেরা হয়েছেন সিরাজ। আগষ্টের সেরা হয়ে ভারতের এই পেসার বলেন, ‘আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার হওয়া বিশেষ সম্মানের। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি স্মরণীয় একটা সিরিজ। আমি খেলেছি এমন সিরিজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনায় ঠাসা। আমি গর্বিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্পেলে অবদান রাখতে পেরেছি, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে।’
মেয়েদের ক্রিকেটে মাসসেরার দৌড়ে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের অর্লা প্রেন্ডারগাস্ট, পাকিস্তানের মুনিবা আলী ও নেদারল্যান্ডসের আইরিস স্ফিলিং। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭২ গড়ে ১৪৪ রান করেছিলেন প্রেন্ডারগাস্ট। এ ছাড়া বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সে আয়ারল্যান্ডের ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে অবদান রাখেন তিনি। যার ফলস্বরূপ মুনিবা ও আইরিসকে পেছনে ফেলে আগষ্টের মাসসেরা হয়েছেন প্রেন্ডারগাস্ট।