হংকংকে মাত্র ১৪৩ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। আবুধাবির ধীরগতির উইকেটে এই লক্ষ্য ১৭.৪ ওভারে তাড়া করে বাংলাদেশ। ৪৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। তারপর ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে দল জেতান লিটন নিজেই।
৩৬ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকা তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৬৯ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন লিটন। কিন্তু জয়ের জন্য যখন দরকার আর দুই রান, তখনই বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তার ইনিংসের প্রশংসায় মুরালি কার্তিক বলেন, 'যেভাবে লিটন ব্যাট করেছে, যেভাবে ও ব্যাট করেছে, যেভাবে ও ইনিংস নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং লোকেরা ওকে ঘিরে খেলেছে, ও এটা নিয়ে খুশি হবে। দিনের শেষে, আপনি একটি জয় দিয়ে শুরু করতে চান, যা ও করেছে। সমালোচকরা যারা ওর স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলেছিল, সে একটা জবাব দিয়ে দিলো।'
প্রত্যুত্তরে হার্শা বলেন, 'বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে অন্য কাউকে উঠে দাঁড়াতে হবে। সুতরাং, বাংলাদেশ থেকে আপনার পছন্দের কাউকে বেছে নিন। ইমন? হয়তো ইমন, তাওহীদ হৃদয়... তৌহিদ হৃদয়ই সেই ব্যক্তি যে দলে জায়গা পেয়েছে... এবং ও কীভাবে জিততে হয় সে সম্পর্কে নিজের ধারণা বদলাচ্ছে, কিন্তু সেটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তার কারণ।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। হার্শার মতে, এই ম্যাচটি যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণকে বরাবরই এগিয়ে রাখছেন তিনি।
হার্শা বলেন, 'এখানে সত্যিই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমি মনে করি শ্রীলঙ্কা ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে, কিন্তু আমি মনে করি এটা একটা সত্যিই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে অনেক বেশি প্রতিভা আছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কিছুটা অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেখা গেছে। আপনি খেলোয়াড়দের দিকে তাকান এবং দেখেন যে তাদের ক্ষমতা আছে, কিন্তু আমরা এখনও তাদের বড় কিছু করতে দেখিনি।'
'ওদের যে তিনজন দ্রুতগতির বোলার আছে তারা দারুণ। ওদের সবসময়ই ভালো মানের স্পিন বোলার থাকবে। রিশাদ আমার মতে এখনও তৈরি হচ্ছে, কিন্তু তাদের সবসময়ই ভালো মানের স্পিন বোলার থাকবে। কিন্তু যেকোনো দল, উপমহাদেশীয় হোক বা যাই হোক, যখন পেস বোলিং শক্তি বাড়ে, তারা আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠে। এবং আমি মনে করি তাসকিন, মুস্তাফিজুর এবং তানজিমকে নিয়ে, তারা অনেক ভালো খেলতে শুরু করেছে।'