গত আগষ্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় সুব্রায়েনের। আঁটসাঁট বোলিংয়ে সেদিন ট্রাভিস হেডের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ম্যাচ অফিসিয়ালসরা। এমন অবস্থায় সিরিজের বাকি সব ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। এমনকি চলমান ইংল্যান্ড সফরেও রাখা হয়নি তাকে।
ম্যাচ অফিসিয়ালসরা প্রশ্ন তোলায় গত ২৬ আগষ্ট ব্রিসবেনে আইসিসির অনুমোদিত ল্যাবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন সুব্রায়েন। নিয়মানুযায়ী বল ডেলিভারির সময় বোলারের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হতে পারে না। ডানহাতি অফ স্পিনারের সব ডেলিভারির সময় কনুই নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির ভেতর থাকায় অনায়াসে উতরে গেছেন তিনি। ফলে দ্রুতই ক্রিকেট ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন সুব্রায়েন।
সাউথ আফ্রিকার হয়ে এখন পর্যন্ত একটি করে ওয়ানডে এবং টেস্ট খেলেছেন তিনি। তবে ২০১১ সাল থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছেন ৩১ বছর বয়সি এই অফস্পিনার। ৭৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ১০২টি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ম্যাচ ও ১২০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়েছে সুব্রায়েনকে।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। সেই সময় ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার পুনর্বাসন প্রোগ্রামে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাশ করে আবারও ক্রিকেটে ফেরেন। তবে বছরখানেক পর ভারতে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে আবারও প্রশ্ন তোলা হয়। সুব্রায়েনের সব ডেলিভারিতে কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে গিয়েছিল।
যার ফলে ২০১৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আবারও পরীক্ষা দেন তিনি। সেবার পাশ করলে একই বছরের মার্চে ক্রিকেটে ফেরেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। সেই ঘটনার ৯ বছর পর আবারও পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাকে। এই যাত্রায় অবশ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হচ্ছে না সুব্রায়েনকে।