জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ৫২ বলে ৯০ রান, হাতে ছিল আট উইকেট। স্কোরবোর্ডে ১১.২ ওভারে আফগানদের রান ছিল দুই উইকেটে ৯৩। সেখান থেকে হঠাৎ করেই ইনিংস ভেঙে পড়ে।
মাত্র ১৭ বলের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান দুই উইকেটে ৯৩ থেকে হয়ে যায় সাত উইকেটে ৯৭। হারিস রউফ, সুফিয়ান মুকিম ও মোহাম্মদ নেওয়াজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ছন্দপতন ঘটে আফগানদের ব্যাটিংয়ে।
ইনিংসের শুরুতে অবশ্য আফগানিস্তান বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। প্রথম উইকেট হারায় তৃতীয় ওভারে। শাহীন আফ্রিদির দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। এরপর রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ আতাল ও রাসুলি দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন।
গুরবাজ করেন ২৭ বলে ৩৮ রান, আতাল ১৯ বলে ২৩ এবং রাসুলি করেন ১৩ বলে ২১। কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে দ্রুত উইকেট হারিয়ে দল চাপে পড়ে যায়।
শেষদিকে অধিনায়ক রশিদ খান চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচে ফেরার। মাত্র ১৬ বলে পাঁচ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু দলীয় ১৪১ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে রশিদ আউট হওয়ার পর সব আশা শেষ হয়ে যায়।
পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ চার উইকেট নেন ৩১ রানে। শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও সুফিয়ান মুকিম নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে। সালমান আঘার ৩৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংস ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া শেষদিকে নেওয়াজ ১১ বলে ২১ ও ফাহিম আশরাফ ৫ বলে ১৪ রান করেন।