এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ১২৮ টি-টোয়েন্টিতে ৩৯.৮৩ গড়ে ৪ হাজার ২২৩ রান করেছেন বাবর। ৩৬ হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে তিনটা সেঞ্চুরিও। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রানের মালিকের স্ট্রাইক রেট ১২৯.২২। যার ফলে নিয়মিত রান করলেও স্ট্রাইক রেট নিয়ে লম্বা সময় ধরেই সমালোচনা শুনে আসছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এমনও অভিযোগ আছে যে বাবর দলের জন্য না খেলে নিজের জন্য খেলেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর থেকেই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে নেই বাবর। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড সফর, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ, বাংলাদেশ সফর এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি দলেও সুযোগ মেলেনি তাঁর। তবে ওয়ানডে দলে ছিলেন তিনি।
প্রথম ওয়ানডেতে ৪৭ রানের ইনিংস খেললেও পরের দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন বাবর। গুঞ্জন ছিল ফখর জামান চোটে পড়ায় এশিয়া কাপে সুযোগ মিলতে পারে তাঁর। যদিও শেষ পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি। চোট কাটিয়ে ফখর ফেরায় স্বাভাবিকভাবেই এশিয়া কাপে নেই ডানহাতি এই ব্যাটার। বাবরকে স্কোয়াডে না রাখার ব্যাখ্যায় হেসন জানান, স্পিনের বিপক্ষে তাকে আরও উন্নতি করতে হবে। প্রায় একই সুরে বাবরকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন হারিস।
স্থানীয় এক ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে হারিস বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই বাবর এবং রিজওয়ান পাকিস্তানের জন্য অনেক পারফরম্যান্স করেছে। কিন্তু আপনি যখন কোনো কিছুর বেঞ্চমার্ক সেট করতে চান তখন তরুণদের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাবরকে আরও একটু দ্রুত খেলতে হবে।’
হারিসের এমন মন্তব্য নিয়ে ক্ষেপেছেন বাসিত। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারের ধারণা, বাবর অথিনায়ক থাকলে হারিস এমন মন্তব্য করতো না। এ প্রসঙ্গে বাসিত বলেন, ‘মোহাম্মদ হারিস যদি বলে বাবর আজমের উন্নতি প্রয়োজন। আমার মনে হয় হারিসকে বেত দিয়ে পেটানো উচিত। হারিস, বাবর আজমকে নিয়ে কথা বলার তুমি কে? অধিনায়ক বদলে গেছে। যদি বাবর এখনো অধিনায়ক থাকতো তাহলে হারিস এমন মন্তব্য করতে পারতো?’
এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের টুর্নামেন্টটি। এশিয়া কাপের আগে অবশ্য আফগানিস্তান ও আরব আমিরাতকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।
 
             
                           
           
   
        