ওয়েবস্টার-ক্যারির হাফ সেঞ্চুরি, প্রথম দিনেই অল আউট অস্ট্রেলিয়া

ছবি: অ্যালেক্স ক্যারি (বামে) ও বেউ ওয়েবস্টার (ডানে), ফাইল ফটো

টস জিতে ব্যাটিং নেয়া অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই চাপে পড়ে। মাত্র ১১০ রানেই হারায় ৫ উইকেট। ব্যর্থ হন টপ অর্ডারের প্রায় সকলেই। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ওয়েবস্টার ও ক্যারির ১১২ রানের জুটি দলকে বিপর্যয় থেকে অনেকটাই টেনে তোলে।
গ্রেনাডায় ফিরলেন স্মিথ
৩ জুলাই ২৫
ওয়েবস্টার করেন ৬০ রান, ক্যারির ব্যাট থেকে আসে ৬৩। দুজনই প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। গ্রেনাডায় তাদের জুটিই অস্ট্রেলিয়াকে তিনশ'র কাছাকাছি স্কোর এনে দিতে বড় অবদান রাখে।
তবে শেষ দিকে আবারও ব্যাটিং ধস নামে। ৫ উইকেটে ২২২ রান থেকে ৬৪ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় শেষ পাঁচ উইকেট। বিশেষ করে আলজারি জোসেফের বোলিংয়ে বিপর্যস্ত হয় অস্ট্রেলিয়া। তিনি একাই তুলে নেন চারটি উইকেট।

শাস্তি পেলেও রাগ পুষে রাখছেন না স্যামি
২ জুলাই ২৫
৬৬.৫ ওভারের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্রেসিংরুমে ফেরে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। দিনের শেষে ব্যাটিং শুরুর কথা থাকলেও আলোর স্বল্পতায় খেলা শুরু করতে পারেননি আম্পায়াররা। ফলে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিং শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গ্রেনাডার উইকেট পেসারদের জন্য সহায়ক ছিল। আলজারি জোসেফের নিচু হয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে বোল্ড হন প্যাট কামিন্স। উইকেটের আচরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিং আরও কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে ২৮৬ রান কার্যকর সংগ্রহ হয়ে উঠতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যর্থতা ছিল স্পষ্ট। উসমান খাওয়াজা ১৬, স্যাম কনস্টাস ২৫, চোট থেকে ফেরা স্টিভ স্মিথ তিন রানে ফিরে যান দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই। তিনে নামা ক্যামেরন গ্রিন ২৬ রানে থামেন।
উইকেটরক্ষকের মুঠোয় ক্যাচ দেয়ার আগে ট্রাভিস হেডের ব্যাটে আসে ২৯ রান। প্রথম পাঁচজনের তিনজনকেই ফেরান জোসেফ। দিন শেষে অজি ইনিংসে বলার মতো ইতিবাচক দিক একটাই, মাঝের সারিতে জুটি গড়ে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া।