বারবার শ্বশুরকে টানায় বিরক্ত শাদাব

ছবি: শাদাব খান ও সাকলাইন মুশতাক

অনেকেই মনে করেন শাদাবের দলে ফেরার পেছনে তার শ্বশুর সাকলাইন মুশতাকের বড় ভূমিকা আছে। যদিও এমন নেতিবাচক আলোচনায় বিরক্ত এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তিনি এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শাদাব বলেছেন, 'এই ধরনের কথা শোনা হতাশাজনক, কারণ আমার ক্যারিয়ার প্রায় সাত বছরের। পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকের পর থেকে আমি বেশ কিছু ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছি। হ্যাঁ, আমি সাকলাইন মুশতাকের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি, কারণ তার শক্তিশালী ক্রিকেট কোচিং ব্যাকগ্রাউন্ড। কিন্তু তার মানে, এই নয় যে তিনি আমাকে (অন্য ক্ষেত্রে) সুবিধা দিচ্ছেন।'

সাকলাইন পাকিস্তান দলের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন গত বছর। এর আগে জাতীয় দলের প্রধান কোচেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কাজ করেছেন পিসিবির অ্যাকাডেমীতেও। সাবেক এই স্পিনারকে পাকিস্তানের ক্রিকেটে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
২০২৪ বিশ্বকাপের পর থেকেই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে ছিলেন শাদাব। এরপর হুট করেই কিউইদের বিপক্ষে এই অলরাউন্ডারকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়ে দলে ফেরানো হয়। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পারফর্ম করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন মাত্র একটি। ব্যাট হাতে চার ইনিংসে করেছেন মোটে ৫৮ রান।
শাদাব নিজের বোলিংয়ে উন্নতির জন্য বিভিন্ন সময় সাকলাইনের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে বারবার শ্বশুরের প্রভাবের বিষয় সামনে আনায় চটেছেন শাদাব। তিনি বলেছেন, 'সাকলাইন মুশতাকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বারবার সামনে আনা হলে কষ্ট লাগে। আমার শ্বশুরের সঙ্গে কাজ করে বোলিংয়ের উন্নতি করার চেষ্টা করছি, কারণ আমি নিজেকে ব্যাটসম্যানের চেয়ে বোলার হিসেবে দলের জন্য বেশি উপকারী মনে করি।'