পাকিস্তানের তিক্ত অভিজ্ঞতায় অস্ট্রেলিয়ার কোচ হতেও নারাজ গিলেস্পি

ছবি: ফাইল ছবি

সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পিসিবির পক্ষ থেকে নিয়েলসেনকে জানানো হয় তাকে আর তাদের প্রয়োজন নেই। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতেন না গিলেস্পি। পিসিবির এমন আচমকা সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসারের। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল সহকারীর চাকরি না থাকায় পাকিস্তানের টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়তে পারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকা সফরের আগে দায়িত্ব ছাড়েন গিলেস্পি।
পাকিস্তান নিয়ে গাভাস্কারের মন্তব্যকে ‘ফালতু কথা’ বলছেন গিলেস্পি
৮ মার্চ ২৫
দেশে ফেরার কয়েক মাস পর পাকিস্তানে কোচিং করানোর তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন তিনি। উইজডেন ক্রিকেট উইকলি পডকাস্টে গিলেস্পি বলেন, ‘পাকিস্তানে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার কোচিংয়ের প্রতি ভালোবাসাকে তেতো করে তুলেছে। আমি এ কথা অকপটেই বলি। যেভাবে সবকিছু শেষ হলো, সেটা আমাকে খুবই হতাশ করেছে। আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে, আমি আদৌ পূর্ণকালীন কোচ হতে চাই কি না।’

এমন ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ আকিব জাভেদকে দায়ী করেছেন গিলেস্পি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার বলেন, ‘সে একটা ভাঁড় ছিল। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আর দলগত ঐক্যের অভাব কোচিং করানোটাকে অসহনীয় করে তুলেছিল।’
৫ ম্যাচে চারবার স্লো ওভার রেটের শাস্তি পেল পাকিস্তান
৯ মিনিট আগে
পাকিস্তানে কোচিংয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে পূর্ণকালীন কোচিংয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন গিলেস্পি। এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেলেও সেটা লুফে নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে স্বল্পমেয়াদী কাজ কিংবা পরামর্শক হিসেবে সুযোগ পেলে সেটা করবেন বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার।
গিলেস্পি বলেন, ‘এ মুহূর্তে নিশ্চিত নই আমি পূর্ণকালীন কোচিংয়ে আগ্রহী কি না। অস্ট্রেলিয়া ডাকলেও ‘না’। আমি আগ্রহী নই। লিগগুলোতে কোচিং বা স্বল্পমেয়াদী কাজ কিংবা পরামর্শক হিসেবে কাজ করার আগ্রহ আছে। তবে পূর্ণকালীন কোচ; এটা এ মুহূর্তে আমার ভাবনায় নেই।’