ছোটবেলা থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের স্বপ্ন দেখতেন আব্বাস

ছবি: পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো আব্বাস

জন্ম পাকিস্তানের লাহোরে, ক্রিকেট কথা দেশটির হয়েও। কিন্তু ভাগ্য মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। আবার আন্তর্জাতিক অভিষেকটাও হয়েছে পিতৃভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষেই। পাকিস্তানের সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার আজহার আব্বাসের ছেলে মোহাম্মদ আব্বাসের জীবনই এমনই বিচিত্র।
দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে ছিটকে গেলেন চ্যাপম্যান
১৪ ঘন্টা আগে
গেল শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড করেন আব্বাস। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির অনন্য কীর্তি গড়েন ডানহাতি ব্যাটার।
আব্বাস জানান, ছোটবেলা থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। মাত্র এক বছর বয়সে বাবার সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান আব্বাস। এরপর সেখানেই বেড়ে ওঠা তার। অভিষেকের পর নিউজিল্যান্ডের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার গর্ব ও অনুভূতি প্রকাশ করেন এই ক্রিকেটার।
আব্বাস বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমি ছোটবেলা থেকে এই মুহূর্তের স্বপ্ন দেখেছি, ব্ল্যাক ক্যাপসের দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। এখন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া প্রথম নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার হওয়াটা আমার জন্য বিশেষ কিছু।’

শৈশবকে স্মরণ করে আব্বাস যোগ করেন, ‘আমরা যখন নিউজিল্যান্ডে চলে আসি, তখন আমি মাত্র এক বছর বয়সী ছিলাম। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের স্বপ্ন দেখতাম। এখন তা সত্যি হয়েছে, অনুভূতিটা সত্যিই অবিশ্বাস্য এবং রোমাঞ্চকর।’
পাকিস্তানের সঙ্গে গভীর সংযোগের কথা জানিয়ে আব্বাস বলেন, ‘আমার অনেক আত্মীয় এখনো লাহোর ও মুলতানে বাস করেন। তারা নিশ্চয়ই আমাকে খেলতে দেখে আনন্দিত হবেন।’
পরিবারের ক্রিকেটীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বাবার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ও আমি দুজনেই ওয়েলিংটনের হয়ে খেলেছি। তার ত্যাগ ও সমর্থন আমার জন্য অমূল্য। আমরা একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং আজ যখন সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, তখন এটি অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। এই যাত্রাটা অসাধারণ ছিল—এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।’
২১ বছর বয়সী আব্বাস নেপিয়ারে মাত্র ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। এর আগে ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল ভারতের ক্রুনাল পান্ডিয়ার। ২৬ বলে অর্ধশতকের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রুনাল।
পাকিস্তানের হয়ে এখনও অভিষেকে দ্রুততম ওডিআই ফিফটির রেকর্ড নাসির জামশেদের দখলে। ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪০ বলে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে মার্ক চ্যাপম্যানের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৪৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৪৪.১ ওভারে ২৭১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ৭৩ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।