‘অলরাউন্ডার’ সাইম-সালমানে পাকিস্তানের জয়
ছবি: ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে সাইম আইয়ুবকে ডেকে নিয়েছেন সালমান আঘা, পিসিবি
পার্লে জয়ের জন্য ২৪০ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। মার্কো জানসেনের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন আব্দুল্লাহ শফিক। সাইমের সঙ্গে জুটি গড়ে সফরকারীদের বিপদ সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেন বাবর আজম। তবে পাকিস্তানের তারকা টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ।
ওটিনিয়েল বার্টমানের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে লিডিং এজ হয়ে বল চলে যায় শর্ট মিড অফে। জানসেন ক্যাচ নিতেই ২৩ রানে ফিরতে হয় বাবরকে। অধিনায়ক রিজওয়ান, কামরান গুলামও আউট হলেন দ্রুতই। ৬০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সফরকারীদের পথ দেখান সাইম ও সালমান। সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে যেখানে শেষ করেছিলেন ওয়ানডেতে যেন সেখান থেকেই শুরু করেন সাইম।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৭২ বলে তাই হাফ সেঞ্চুরিও পেয়েছেন। বাঁহাতি ওপেনারের মতো রান করতে থাকেন সালমানও। দুজনের ব্যাটে একশ রানের জুটি হয় ৯৮ বলে। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সালমান। ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৬১ বলে। চার-ছক্কার পাশাপাশি স্ট্রাইক রোটেট করে রান বের করে সেঞ্চুরির পথ হাঁটছিলেন সাইম। ১১২ বলে পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও।
যদিও একশ ছোঁয়ার পর তাকে ফিরিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ডানহাতি পেসারের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় তাবরাইজ শামসিকে ক্যাচ দিয়েছেন ১০৯ রানের ইনিংস খেলে। ইরফান খান ও শাহীন আফ্রিদি টিকতে না পারলেও নাসিমকে সঙ্গে নিয়ে তিন বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করেন সালমান। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৯০ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সাউথ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বার্টমান ও রাবাদা।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান তোলে সাউথ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন হেনরিখ ক্লাসেন। এ ছাড়া রায়ান রিকেলটন ৩৬, এইডেন মার্করাম ৩৫ ও টনি ডি জর্জি ৩৩ রান করেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে আলো ছড়াতে পারেননি পাকিস্তানের পেসত্রয়ী শাহীন, নাসিম ও হারিস রউফ। উইকেটের খোঁজে সালমানের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন রিজওয়ান। ৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে স্বস্তি দিয়েছেন।