এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রশিদ খান, টম বেন্টন ও মোহাম্মদ গাজানফারকে আউট করেছেন। সেই ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। আগের চার ম্যাচে মোট ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। তবে কোনোটিতে দুটির বেশি উইকেট পাননি তিনি। এবার সেই বৃত্ত ভেঙেছেন তিনি। তার দারুণ বোলিংয়ে ১৩৭ রানের থামে এমিরেটসের ইনিংস।
যদিও শেষ পর্যন্ত ৭ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুবাই ক্যাপিটালসকে। তারা ১৩০ রানে অল আউট হয়ে গেছে। জর্ডান কস্কের ৪৬, শায়ান জাহাঙ্গীরের ৩৪ রান ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষ দিকে মুস্তাফিজ নেমে ১ রান করে রান আউট হয়েছেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে এমআই এমিরেটস। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। আর কেউই বিশের কোটা পাড় করতে পারেননি। দুবাইয়ের হয়ে মুস্তাফিজ ৩ উইকেট পেতে ৩৪ রান করেছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ। একটি করে উইকেট পান ডেভিড উইলি, হায়দার আলী ও ওয়াকার সালামখিল।
এদিন বল হাতে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন মুস্তাফিজ। তার অফ কাটারে রশিদ খান মিড অফে ক্যাচ দেন দাসুন শানাকার হাতে মাত্র ১ রান করে। এরপর তৃতীয় বলে বেন্টন ক্যাচ দেন মিদ উইকেটে ডু প্লয়ের হাতে। তিনি করেন মাত্র ৫ রান। আর পচনম বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মুস্তাফিজ ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন গাজানফারকে। তাকে রানের খাতাই খুলতে দেননি বাঁহাতি এই পেসার।
তৃতীয় ওভারে ৫ বলের মধ্যে তিন উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ নিজের শেষ ওভারেও উইকেট পেতে পারতেন। চতুর্থ বলে রোমারিও শেফার্ড বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন। তবে হাতে নিয়েও ফেলে দেন কক্স। ক্যাচ মিসের হতাশায় ঢাকা ওভারটিতে একটি চার ও একটি ছয়ে মোট ১৬ রান ওঠে। মোস্তাফিজ তাঁর চার ওভারের বোলিং কোটা শেষ করেন ৩৪ রানে ৩ উইকেটে।