সবকিছু ঠিক থাকলে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলে চট্টগ্রামের হয়ে খেলবেন আবরার আহমেদ। পাকিস্তানের ডানহাতি এই স্পিনার দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল খেলতে আসবেন। এর আগে ২০২৩ বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। যদিও এক ম্যাচে ২২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন আবরার।
পিএসএল ও বিপিএলের বাইরে কেবল মাত্র মেজর লিগ ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে এখনো পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে এবং ২৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আবরার। কদিন আগে সাদ নাসিমসহ আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল চট্টগ্রাম। তবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের অনুমোদন না পাওয়ায় চুক্তিগুলো বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শর্তানুযায়ী, মালিকানা পাওয়ার পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হতো। ৫ নভেম্বর দল পেলেও বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিই সেই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলেও চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি পুরো ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে পারেনি।
ব্যাংক গ্যারান্টির পাশাপাশি নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেনি তারা। পরিবর্তিত নিয়ম অনুসারে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অন্তত ৫ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি সেটা করতে না পারে তাহলে তাদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারে গভর্নিং কাউন্সিল।
চট্টগ্রামকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়েই ৬ দলের বিপিএল আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি। নতুন দল হিসেবে যুক্ত হয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। দল নিতে হলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দিতে হতো। সেটা জমা দিতে না পারায় রাজশাহীর মালিকানা চাইলেও পায়নি দেশ ট্রাভেলস। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের হাতেই নোয়াখালী ফ্র্যাঞ্চাইজি তুলে দিয়েছে বিসিবি। পুরনো তারিখ অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বরই হচ্ছে বিপিএল নিলাম।