এসএ টোয়েন্টির চতুর্থ আসরের আগে গত সেপ্টেম্বরে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিলাম। বিপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সাউথ আফ্রিকার টুর্নামেন্টের নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন বাংলাদেশের ২৩ ক্রিকেটার। তবে চূড়ান্ত তালিকায় টিকেছিলেন ১৪ জন। যেখানে মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারও ছিলেন।
তাদের দুজনের পাশাপাশি নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব, শেখ মেহেদী হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, শামীম হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ, জাকের আলী অনিক, তাইজুল, মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানার। একমাত্র তাইজুল ও মুস্তাফিজের নাম তোলা হয়েছিল নিলামে। যদিও বাংলাদশের বাঁহাতি পেসারকে কিনতে কেউই আগ্রহ দেখায়নি।
নিলামের প্রায় শেষের দিকে ৫ লাখ সাউথ আফ্রিকান র্যান্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা) তাইজুলকে দলে নেয় ডারবান। দল পাওয়ায় হেনরিখ ক্লাসেন ও সুনীল নারিদের সঙ্গে খেলার কথা ছিল তাঁর। তবে সাউথ আফ্রিকার টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়া হচ্ছে না তাইজুলের। ধারণা করা হচ্ছে, বিপিএলের সঙ্গে সূচির সাংঘর্ষিক হওয়ায় পুরো টুর্নামেন্টের এনওসি পাচ্ছেন না তিনি।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াতে পারে বিপিএল। একই মাসের শেষ সপ্তাহে হবে এসএ টোয়েন্টি। স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো একটি টুর্নামেন্টকে ছাড়তে হবে তাকে। কদিন আগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডারবানের হয়ে খেলতে তাইজুল বিসিবির কাছে এনওসি’ই চাননি। যদিও একই সময়ে হওয়া বিগ ব্যাশে খেলতে দেখা যাবে রিশাদ হোসেনকে।
বিগ ব্যাশের আগামী মৌসুমের জন্য রিশাদকে দলে নিয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স। অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্ট থেকে বিসিবি থেকে পুরো আসরের এনওসি পেয়েছেন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার। ক্রিকেটার হিসেবে রিশাদের যাতে উন্নতি হয় সেই ভাবনা থেকেই বিসিবি তাকে পুরো মৌসুমের এনওসি দিয়েছে। যার ফলে আগামী বিপিএলে নাও দেখা যেতে পারে রিশাদকে।
