বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি চেয়ে এক্সপ্রেশন্স অব ইন্টারেস্ট আহবান করেছে বিসিবি। পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বিক্রি করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অর্থাৎ বিপিএলের ১২ থেকে ১৬ আসর পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব পাবেন তারা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১১ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যায় আগামী ৫ আসরের জন্য সম্ভাব্য ১০টি অঞ্চলের রূপরেখা জানিয়েছে বিসিবি।
যেখানে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটের নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি চাওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো সম্ভাব্য ফ্র্যাঞ্চাইজির তালিকায় যুক্ত হয়েছে নোয়াখালী ও ময়মনসিংহ। বাকি ৮টি অঞ্চলের সবগুলো বিপিএলে অন্তত একবার অংশগ্রহণ করেছে। ২০২৬ বিপিএলের জন্য পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি চায় বিসিবি। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা, ভাবমূর্তি ও টুর্নামেন্টের দীর্ঘমেয়াদী ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যের ভিত্তিতে মালিকানা চূড়ান্ত করবে তারা।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘আমরা দশটা অঞ্চলের নাম বলেছি, তবে এবার সময় কম। তাই অন্তত পাঁচটা দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। বলছি না ছয় বা সাতটা দল হবে না, কিন্তু আমাদের প্রাধান্য পাঁচটি দল নিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করা। আগের বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যে সব সমস্যা হয়েছিল, এবার আমরা কঠোর থাকব। ফাইনান্সিয়াল দিক ঠিক না থাকলে, কিংবা ম্যানেজমেন্ট দুর্বল হলে, বড় প্রতিষ্ঠান হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। ফাইনান্স আর ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট—দুটোই এবার কঠোরভাবে যাচাই করা হবে।’
সূচি অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সিরিজ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ওই সময়ে বিপিএলে আয়োজন করতে চায় বিসিবি। হাতে খুব বেশি সময় না থাকলেও বিশ্বকাপ ভাবনা ও ভবিষ্যত জটিলতা এড়াতে বিপিএল করবে তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজি চেয়ে ইওআই প্রকাশ করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএলের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
বিপিএলের সময়সূচি নিয়ে টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের পর নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। আজকের সভায় প্রথমেই ঠিক করতে হয়েছে, এত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপিএল করব কি না। বোর্ড সভায় আলোচনা হয়েছে, আমরা ধরেছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়টাকে। আগের দলগুলোর চুক্তি শেষ, তাই এবারের বিপিএল নতুনভাবে শুরু হচ্ছে।’