জাতীয় দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও বিপিএলের জন্য বিগ ব্যাশের গত মৌসুমে খেলতে যেতে পারেননি তরুণ লেগ স্পিনার। বিগ ব্যাশের আগামী মৌসুমের জন্যও রিশাদেই ভরসা রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
হোবার্টের হেড অব স্ট্র্যাটেজির দায়িত্বে থাকা রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শেই তাকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। রিশাদও জানালেন পন্টিংয়ের প্রতি নিজের ক্রিকেটীয় শ্রদ্ধার কথা।
তিনি বলেন, 'পন্টিং ছোটবেলায় আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন ছিল; আমি ওকে খেলতে দেখতাম। ওর সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি খুবই রোমাঞ্চিত। খেলোয়াড়দের থেকেও বেশি, আমি রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য এবং ওর কোচিংয়ে খেলার জন্য অপেক্ষা করছি।'
জাতীয় দলে আলো ছড়ানো রিশাদ ভালো করেছেন সবশেষ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল), লাহোর কালান্দার্সের জার্সিতে। হোবার্টের ড্রাফটের টেবিলে ছিলেন স্যালিয়ান বিমস। দলটির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। হোবার্টের নারী ও পুরুষ দলের ক্রিকেটারদের ড্রাফটে ছিলেন স্যালিয়ান।
পাশাপাশি ক্রিকেট তাসমানিয়ার জেনারেল ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করছেন। তাসমানিয়ার বিখ্যাত ক্রিকেটার পন্টিং কাজ করছেন হোবার্টের হেড অব স্ট্র্যাটেজি হিসেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখেই রিশাদকে দলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের পরামর্শেই ২৩ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারকে দলে নেয় হোবার্ট।
বিদেশি লিগ থেকে অনেক কিছুই শিখতে চান রিশাদ, 'যখন হোবার্ট আমাকে ড্রাফট করল, আমি গুগল করে দেখলাম—জায়গাটা খুব সুন্দর আর শান্ত। একজন লেগ-স্পিনার হিসেবে, যদি আমি এসব বিদেশি লিগে খেলতে পারি, তাহলে সেটা আমার জন্য এবং আমার বোলিংয়ের জন্য ভালো হবে।'
'আমার স্কিল আরও উন্নত করার সুযোগ পাব। একজন লেগ-স্পিনার হিসেবে পাওয়ারপ্লের পর উইকেট নেওয়াই আমার কাজ। আমি আশা করি, হোবার্টেও এটা চালিয়ে যেতে পারব, ইনশাআল্লাহ।'