ফিঞ্চের কাছে রিশাদকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পন্টিং

ছবি: ফাইল ছবি

হোবার্টের হেড অব স্ট্র্যাটেজির দায়িত্বে থাকা রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শেই তাকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বিগ ব্যাশের ধারাভাষ্যকার অ্যারন ফিঞ্চের কাছেও রিশাদকে নিয়ে প্রশংসা করেন পন্টিং।
পন্টিংয়ের পরামর্শেই হোবার্টে রিশাদ
২০ জুন ২৫
এ নিয়ে অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, 'এই বাংলাদেশি (রিশাদ) লেগস্পিনার দুর্দান্ত টার্ন করান, তাকে নিয়ে রিকি পন্টিং খুবই উঁচু পর্যায়ের প্রশংসা করেছেন।'

অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফটের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার। রিশাদের সঙ্গে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী, তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাওহীদ হৃদয় এবং সৌম্য সরকার। তবে তাদের মাঝে দল পেয়েছেন কেবল রিশাদ।
মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার বিদেশি ক্রিকেটারদের ড্রাফটের দ্বিতীয় ডাকে রিশাদকে দলে নেয় হোবার্ট। মুস্তাফিজসহ বাকি বাংলাদেশের বাকি ১০ ক্রিকেটারকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। গত মৌসুমে দল পেলেও জাতীয় দলের ব্যস্ততা ও বিপিএলের সঙ্গে সূচির সাংঘর্ষিক হওয়ায় বিগ ব্যাশ খেলতে হওয়া হয়নি রিশাদের। ৯ দিনের অনাপত্তি পত্র পেলেও হোবার্টের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
বিগ ব্যাশের এবারের মৌসুমের সময় অবশ্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলা নেই। জানা গেছে, আগামী মৌসুমের সবগুলো ম্যাচ খেলতেই নিজের নাম দিয়েছেন রিশাদ। পন্টিংয়ের পরামর্শে তাকে দলে নেয়ার কথা এক দিন আগেই জানান হোবার্টের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার স্যালিয়ান বিমস।
রিশাদকে দলে নেয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্যালিয়ান বলেছিলেন, ‘রিশাদকে আমরা গত মৌসুমেও সাইন করিয়েছিলাম। রিকই (রিকি পন্টিং) আমাদের পরামর্শ দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে রিশাদের পরিচয় হয়েছিল আমেরিকার ক্রিকেট লিগ এমএলসি থেকে (মূলত যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে)। সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যায় এবং একের পর এক উইকেট নিতে থাকে। তখন দল থেকে তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়।’