অভিষেকের টর্নেডো ইনিংসে লক্ষ্ণৌকে বিদায় করল হায়দরাবাদ

ছবি: ২০ বলে ৫৯ রান করেন অভিষেক শর্মা, ফাইল ফটো

১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেও শেষ চারে উঠতে পারবে না ঋষভ পান্তের দল। অপরদিকে ১২ ম্যাচে এটি হায়দরাবাদের চতুর্থ জয়। করোনার কারণে এই ম্যাচে খেলা হচ্ছে না ট্রাভিস হেডের। তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে ভালো করতে পারেননি অথর্ব তাইডে। ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান তিনি। উইলিয়াম ও' রুর্কির গুড লেংথের বলে ডিপ থার্ডে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই ওপেনার। ফেরার আগে করেন ৯ বলে ১৩ রান।
করোনা আক্রান্ত হেড, খেলবেন না লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে
১৬ ঘন্টা আগে
তারপর ৮২ রানের জুটি গড়েন অভিষেক এবং ইশান কিশান। এই জুটিও ভাঙেন দিগ্বেশ রাঠি। রাঠির গুগলিকে এক্সট্রা কাভারের ওপর ওড়াতে গিয়ে শার্দুল ঠাকুরের মুঠোয় ক্যাচ দেন অভিষেক। ২০ বলে চারটি চার ও ছয়টি ছক্কার টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। তারপর ৪১ রানের জুটি গড়েন ইশান এবং হেনরিখ ক্লাসেন।
২৮ বলে ৩৫ রান করা ইশানকে বোল্ড করে আবারো জুটি ভাঙেন রাঠি। এরপর ক্লাসেনের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়েন কামিন্দু মেন্ডিস। ২৮ অলে ৪৭ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে ফিরে যান ক্লাসেনও। এরপর ২১ বলে ৩২ রান করা কামিন্দুও রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। অনিকেত ভার্মা ও নীতিশ কুমার রেড্ডি দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। দুজনই দুই বলে পাঁচ রানে অপরাজিত থাকেন।

লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে পাঞ্জাব
৫ মে ২৫
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ১১৫ রান তোলে লক্ষ্ণৌ। দুই ওপেনার মার্শ এবং মার্করাম শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন। এই জুটি ভাঙেন হার্শ দুবে। তার বলে হাঁকাতে গিয়ে শর্ট থার্ড অঞ্চলে ধরা পড়েন মার্শ। ফেরার আগে এই অস্ট্রেলিয়ান করেন ৩৯ বলে ৬৫ রান। ছয়টি চারের পাশাপাশি চারটি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে।
এরপর চটজলদি বিদায় নেন তিনে নামা ঋষভ পান্ত। ছয় বলে সাত রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ককে দুর্দান্ত একটি ক্যাচে কট অ্যান্ড বোল্ডে বিদায় করেন ইশান মালিঙ্গা। এরপর মার্করামের সঙ্গে যোগ দেন পুরান। শুরু থেকেই দলের রান বাড়ানোর জন্য বড় শট খেলছিলেন তিনি। যদিও দলীয় ১৫৯ রানে বিদায় নেন মার্করাম। হার্শাল প্যাটেলের দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৮ বলে চারটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬১ রান করেন তিনি।
এরপর পুরান একাই দলের হয়ে লড়ে যান। শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান। লক্ষ্ণৌর ইনিংসে বাজেভাবে ব্যর্থ হন দলটির বাকি ব্যাটাররা। আইয়ুশ বাদোনি পাঁচ বলে তিন, আব্দুল সামাদ ছয় বলে তিন ও শার্দুল ঠাকুর এক বলে চার রানে ব্যর্থ হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২০৫ রানে থামে লক্ষ্ণৌ। হায়দরাবাদের হয়ে ২৮ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ইশান। একটি করে উইকেট নেন হার্শ, হার্শাল এবং নীতিশ।