পরাগের ৬ বলে ৬ ছক্কা ছাপিয়ে কলকাতার ১ রানের নাটকীয় জয়

ছবি: হাফ সেঞ্চুরির পথে রিয়ান পরাগের একটি শট, আইপিএল

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রাজস্থান। এরপর ইয়াসভি জায়সাওয়ালের সঙ্গে দলের হাল ধরেন পরাগ। এই দুজনে যোগ করেন ৫৮ রান। আর তাতেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। জায়সাওয়াল ফিরেছেন ২১ বলে ৩৪ রান করে। এরপর তারা আরও বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে।
কোহলিদের বিপক্ষেও রাজস্থানের অধিনায়ক পরাগ, নেই স্যামসন
২১ এপ্রিল ২৫
যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনেছেন পরাগ। তিনি সবচেয়ে বেশি চড়াও হয়েছিলেন মঈন আলীর ওপর। কলকাতার এই স্পিনারের এক ওভারে পরাগ মারেন ৫ ছক্কা। সেই ওভারে প্রথম বলে সিঙ্গেল আর একটি ওয়াইডসহ আসে ৩২ রান। এই ওভারেই মূলত ম্যাচের মোড় অনেকটা ঘুরে যায় রাজস্থানের দিকে।

পরের ওভারে শিমরন হেটমায়ার স্ট্রাইক দিলে বরুণ চক্রবর্তীকেও ছক্কা মেরে টানা ছয় ছক্কার কীর্তি গড়েন এই ব্যাটার। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে পরাগ আউট হন ৯৫ রান করে। এরপর হেটমায়ার ২৩ বলে ২৯ আর শুভম দুবে অপরাজিত ১৪ বলে ২৫ রান করলেও দলকে জেতাতে পারেননি।
১৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারল কোহলিরা
২৪ মে ২৫
শেষ ওভারে তাদের জিততে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। বৈভব আরোরার ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারলেও জয়ের বন্দরে পৌঁছানো হয়নি রাজস্থানের। কলকাতার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন মঈন, হার্শিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী। একই উইকেট নেন বৈভব।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা কলকাতাকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি নারিন ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ জুটি। নারিন আউট হন ১১ রান করে। আর গুরবাজ ফেরেন ৩৫ রান করে। অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ফিরে যান ২৪ বলে ৩০ রান করে। অবশ্য অংক্রিস রঘুবংশির ৩১ বলে ৪৪ রানের সঙ্গে আন্দ্রে রাসেলের ২৫ বলে ৫৭ রানের ক্যামিওতে দুশ পেরিয়ে যায় কলকাতা।
শেষদিকে নেমে ৬ বলে ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন রিঙ্কু সিংও। রাসেল ও রিঙ্কু পঞ্চম উইকেটে ১১ বলে ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। রাজস্থানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জফরা আর্চার, যুধবীর সিং, মাহিশ থিকশানা ও পরাগ।