কোহলি-ক্রুনালের ব্যাটে বেঙ্গালুরুর বড় জয়

ছবি: বিরাট কোহলি ও ক্রুনাল পান্ডিয়া, আইপিএল

দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আইপিএলের সব আসর মিলিয়ে ১ হাজার ১৩০ রান করেছেন কোহলি। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি রান আছে কেবল ডেভিড ওয়ার্নারের। তিনি পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেই করেছেন ১ হাজার ১৩৪ রান। দিল্লিকে হারিয়ে এখনও পর্যন্ত সব প্রতিপক্ষের মাঠে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছে বেঙ্গালুরু।
‘আইপিএলে লম্বা সময় খেলতে হলে কোহলিকে অনুসরণ করো’, বৈভবকে শেবাগ
২৬ এপ্রিল ২৫
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি বেঙ্গালুরু। তারা ২৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এর মধ্যে দুটি উইকেটই নেন অক্ষর প্যাটেল। তৃতীয় ওভারে এসে ১২ রান করা জ্যাকব বেথেল ও পরে শূন্য রানে দেবদূত পাডিকালকে আউট করেন। রজত পাতিদার হন রান আউট।

এরপর কোহলি ক্রুলান পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে বেঙ্গালুরুকে টেনে নেন। এই দুজনে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ১১৯ রান। আর তাতেই বড় জয়ের ভিত পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। কোহলি ৪৭ বলে ৫১ রান করে আউট হলেও ক্রুনাল ৪৭ বলে ৭৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে নেমে ৫ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে বেঙ্গালুরুর ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন টিম ডেভিড।
দিন শেষে একজন পান্ডিয়ারই জেতার কথা ছিল: ক্রুনাল
৮ এপ্রিল ২৫
টস জিতে এই ম্যাচে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পাতিদার। আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসি ও অভিষেক পোরেল। ডু প্লেসি ২২ ও অভিষেক আউট হন ২৮ রান করে। ঘরের মাঠে রান পাননি করুন নায়ারও। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দিল্লির রান বাড়াতে থাকেন লোকেশ রাহুল। তিনি অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৩০ রান যোগ করেন চতুর্থ উইকেটে।
অক্ষর ১৫ রান করে ফিরলে আবারও শুরু হয় দিল্লির ব্যাটারদের আসা যাওয়া। এক সময় মনে হচ্ছিল দিল্লির সংগ্রহ দেড়শ পার হবে না। চাপ সামলাতে পারেননি রাহুল। তিনি হাফ সেঞ্চুরির আগেই ৩৯ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান। শেষদিক ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দিল্লির সংগ্রহ দেড়শ পার করেন। বেঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার একাই নেন ৩টি উইকেট। দুটি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। একটি করে উইকেট পান ইয়াশ দয়াল ও ক্রুনাল পান্ডিয়া।