বুমরাহর তাণ্ডবে লক্ষৌকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে অফের দৌড়ে মুম্বাই

ছবি: উইকেট নেয়ার পর জসপ্রিত বুমরাহ, আইপিএল

মুম্বাইয়ের দেয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংস থেমেছে ১৬১ রানে। মুম্বাইয়ের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান জসপ্রিত বুমরাহর। এই পেসার মাত্র ২২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৮ রানেই এইডেন মার্করামের উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। এরপর মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান মিলে কিছুটা চাপ সামলে নিলেও জুটি বড় করতে পারেননি তারা। দলীয় ৬০ রানে লক্ষৌ হারায় ১৫ বলে ২৭ রান করে পুরানকে।
উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ বুমরাহ-মান্ধানা
২২ এপ্রিল ২৫
অধিনায়ক ঋষভ পান্ত আউট হন মাত্র ৪ রান করে। খানিক বাদে ফিরে গেছেন ২৪ বলে ৩৪ রান করা মার্শও। ফলে বিপদে পড়ে লক্ষ্ণৌ। ষষ্ঠ উইকেটে আয়ুব বাদনি ও ডেভিড মিলার মিলে লক্ষ্ণৌয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে বাদনি ফিরলে সেই জুটিও ভাঙে তাদের। বাদনির ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩৫ রান।
মিলার শেষদিকে ১৬ বলে ২৪ রান করে ফিরলে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি লক্ষ্ণৌ। শেষদিকের ব্যাটাররা নাটকীয় কিছু করতে না পারলে বড় হার মেনে নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লক্ষৌকে। মুম্বাইয়ের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ। তিনটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। আর দুটি উইকেট নেন উইল জ্যাকস।

বোল্ট-চাহারের আগুনে বোলিং, রোহিতের ঝড়ে মুম্বাইয়ের টানা চার জয়
২৩ এপ্রিল ২৫
এর আগে টস জিতে এই ম্যাচে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লক্ষ্ণৌ। ব্যাটিং করতে নেমে ঝড়ো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রোহিত শর্মা। মুম্বাইয়ের এই ওপেনার ফিরেছেন মাত্র ১২ রান করে। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন রায়ান রিকেলটন।
তাকে দারুণ সঙ্গ দেন উইল জ্যাকস। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৫ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রিকেলটন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। প্রোটিয়া এই ব্যাটার ৩২ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। এরপর উইল জ্যাকস ২৯ রান করে ফিরে যান। তিন উইকেট হারানোর পর মুম্বাইয়ের ইনিংস টেনেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব।
যদিও এর মাঝেই তিলক ভার্মা ৬ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৫ রান করে আউট হলেও সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামলে নেন সূর্যকুমার। তিনি খেলে ২৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। শেষের দিকে কার্যকরী দুটি ইনিংস খেলেছেন নমন ধীর ও করবিন বশ। ১১ বলে ২৫ রান করে নমন অপরাজিত থাকলেও বশ ১০ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন।
যদিও তাতেই ২১৫ রানের সংগ্রহ নিশ্চিত হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। লক্ষ্ণৌয়ের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন মায়াঙ্ক যাদব ও আভেস খান। এর বাইরে একটি করে উইকেট নেন প্রিন্স যাদব, দিগ্বেশ রাথি ও রবি বিষ্ণই। লক্ষৌয়ের পাঁচ বোলারই পেয়েছেন উইকেটে দেখা।