‘এটা আমার মাঠ, যে কারো থেকে বেশি চিনি’

ছবি: দিল্লির জার্সিতে লোকেশ রাহুল, আইপিএল

রাহুল যখন ব্যাটিংয়ে নামেন দিল্লি তখন ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। সেখান থেকেই অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ২৮ ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটি গড়ে দিল্লিকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাটিতে ব্যাট ঠুকে সেলিব্রেটও করেছেন রাহুল।
‘অপরাজেয়’ দিল্লির নায়ক রাহুল, ঘরে আবারও বেঙ্গালুরুর হার
১০ এপ্রিল ২৫
বুঝিয়ে দিয়েছেন এটা তার ঘরের মাঠ। এখানে তিনি রাজত্ব করতেই এসেছেন। ম্যাচ শেষে সেই উদযাপনের রহস্যই যেন খোলাসা করলেন রাহুল। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই বেঙ্গালুরুতেই। ফলে এম চিন্নাস্বামী যেন হাতের তালুর মতো চেনা রাহুলের। সেটাই যেন আবার প্রমাণ করলেন তিনি।

ম্যাচ শেষে রাহুল বলেছেন, ‘ উইকেটটা একটু ট্রিকি ছিল। আমার যেটা সুবিধা হয়েছে, সেটা হল উইকেটের পিছন থেকে ২০ ওভার খেলা দেখেছি। ফলে আমি পিছন থেকে দেখছিলাম উইকেটে বলের গতি বা দিক কেমন পরিবর্তন হচ্ছে, কতটা সুইং হচ্ছে। বল একটু থেমে থেমে গেলেও ধারাবাহিকভাবেই বল ব্যাটে আসছিল। এটা টু পেসড উইকেট ছিল না, ওয়ান পেসড ছিল। আমি আমার শটগুলো জানি, আমি চেয়েছিলাম ভালো শুরু করতে। এরপর খেলাটা ধরতে।
জাতীয় দলের জন্য আর্থিক ক্ষতি মাথা পেতে নেবেন ব্রুক
১০ এপ্রিল ২৫
তিনি আরও যোগ করেন, 'আমি যখনই ছয় মারতে চাইছিলাম, কোথা থেকে মারব সেটা দেখে নিচ্ছিলাম। উইকেটকিপিং করায় আমি বুঝে গেছিলাম ব্যাটাররা কীভাবে খেলেছে আর কোন ধরণের শটে আউট হয়েছে। আমার ক্যাচটা মিস হয়েছে ভাগ্য ভালো ছিল। এটা আমার মাঠ, আমার ঘর এটা। আমি এই মাঠকে অন্য সবার থেকেই বেশি ভালো চিনি। এখানে খেলতে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ’
আইপিএলের গত আসরে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৫২০ রান করেছিলেন রাহুল। তবে দলের ব্যর্থতার কারণে তাকে আর রিটেইন করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার নতুন দল নাম লিখিয়ে যেন নিজের পুরোনো ফর্মই দেখাচ্ছেন তিনি। এবারের আইপিএলে রাহুলের ব্যাটিং গড়ই স্রেফ ৯২। এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ১৮৫ রান। তার এমন ফর্ম দেক্ষে লক্ষ্ণৌয়ের আক্ষেপ হতেই পারে।