পুরো বছর জুড়েই অবিশ্বাস্য ফিনিশিংয়ের কল্পনা করেছিলেন আশুতোষ

ছবি: পুরো বছর জুড়েই অবিশ্বাস্য ফিনিশিংয়ের কল্পনা করেছিলেন আশুতোষ শর্মা (ডানে), ফাইল ফটো

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ছুঁড়ে দেয়া ২১০ রান তাড়া করতে নেমে সাত রানে তিন উইকেট হারায় দিল্লি। ৬৫ রান তুলতে দলটি হারায় মোট পাঁচ উইকেট। ফাফ দু প্লেসি, ট্রিস্টান স্টাবস ও ফ্রেজার ম্যাকগার্কের মতো পরীক্ষিত সব ব্যাটাররা ফিরে যান।
৪২০ রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দিল্লিকে জেতালেন আশুতোষ-ভিপরাজ
২৪ মার্চ ২৫
এক পর্যায়ে ১৭১ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেলে দিল্লি। সেখান থেকে রীতিমতো এক হাতে দল জেতান আশুতোষ। ৩১ বলে পাঁচটি করে চার-ছক্কায় ৬৬ রান আসে তিনি। ভিপরাজ নিগামের ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংসটিও দলের জয়ে দারুণভাবে কাজে আসে।

গত বছর পাঞ্জাব কিংসের হয় আলো কাড়েন আশুতোষ। যদিও বেশ কয়েকটি ম্যাচে ফিনিশিং দিতে ব্যর্থ হন তিনি। পাঞ্জাব তাকে দলে না রাখলেও দিল্লি এবারের মেগা নিলাম থেকে তাকে কিনে নেয়। গত আইপিএল থেকেই তাই ফিনিশিং নিয়ে স্বপ্ন বুনতে থাকেন আশুতোষ।
ম্যাচ শেষে আশুতোষ বলেন, 'আমি আমার ক্ষমতা সম্পর্কে সত্যিই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। গত বছর সত্যিই ভালো ছিল, কিন্তু সেটা আমার জন্য ইতিহাস। আমি সেখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েছি এবং আমার দুর্বলতাগুলো উন্নত করার জন্য নিজের উপর কাজ করেছি। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে যা করেছি, সেটাই প্রয়োগ করছি।'
'আগের মৌসুমে কয়েকবার খেলা শেষ করতে পারিনি। সারা বছর আমি এটি নিয়ে মনোনিবেশ করেছি এবং কল্পনা করেছি। বিশ্বাস ছিল যে আমি শেষ ওভার পর্যন্ত খেললে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। ভিপরাজ খুব ভালো খেলেছে। আমি তাকে মারতে বলেছিলাম। সে চাপের মধ্যে খুব শান্ত ছিল। আমি এই পুরস্কারটি আমার মেন্টর শিখর (ধাওয়ান) পা জিকে উৎসর্গ করতে চাই। আমি সত্যিই (আমার ইনিংস) উপভোগ করেছি। আমার কঠোর পরিশ্রম কাজে লেগেছে।'