৪২০ রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দিল্লিকে জেতালেন আশুতোষ-ভিপরাজ

ছবি: ৩১ বলে অপরাজিত ৬৬ রান করেন আশুতোষ শর্মা, ফাইল ফটো

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাত রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় দিল্লি। জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ১, অভিষেক পোরেল শূন্য এবং সামির রিজভি চার রানে ফিরে যান। এদের মধ্যে প্রথম ওভারেই ম্যাকগার্ক-পোরেলকে বিদায় করেন লক্ষ্ণৌর পেসার শার্দুল ঠাকুর। দলীয় ৬৫ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারায় দিল্লি।
পুরো বছর জুড়েই অবিশ্বাস্য ফিনিশিংয়ের কল্পনা করেছিলেন আশুতোষ
২৫ মার্চ ২৫
১৮ বলে ২৯ করে বিদায় নেন ফাফ দু প্লেসি, ১১ বলে ২২ রান করে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেল। দলটির সহ-অধিনায়ক এবং অধিনায়ক বিদায় নিলে ম্যাচে ফিরে দিল্লি। বল হাতে বাজে দিন পার করা ট্রিস্টান স্টাবস ২২ বলে দ্রুত গতিতে ৩৪ রান করে মানিমারান সিদ্ধার্থের বলে ফিরে যান। ১১৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ১৬৮ রানে নিগামের উইকেট হারায় দিল্লি। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে দিল্লিকে জেতান আশুতোষ। লক্ষ্ণৌর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শার্দুল, সিদ্ধার্থ, দিগবেশ রাথি এবং রবি বিষ্ণই।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ২০৯ রান তোলে লক্ষ্ণৌ। দলটিকে উড়ন্ত সুচনা এনে দেন মিচেল মার্শ। ৪.৪ ওভারে দলীয় ৪৬ রানে এইডেন মার্করাম ফিরলে দলটির ওপেনিং জুটি ভাঙে। লেগ-স্পিনার ভিপ্রাজ নিগামের গুগলিতে লং অফে লফটেড শট খেলতে গিয়ে মিচেল স্টার্ককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মার্করাম। নিগামের ক্যারিয়ারের প্রথম শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর মার্শের সঙ্গে চার-ছক্কার মিছিলে যোগ দেন নিকোলাস পুরান। দ্রুত সময়ে এই দুজনের ৮৭ রানের জুটি ভাঙেন মুকেশ কুমার। ছয়টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৬ বলে ৭২ রান করে মুকেশকে লং অন হাঁকাতে গিয়ে ফিরে যান মার্শ। দলীয় ১৬১ রানের মধ্যে শূন্য রানে ফিরে যান দলটির অধিনায়ক ঋষভ পান্তও। পান্তকে ফেরানোর মাধ্যমে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরাতে থাকেন কুলদিপ যাদব, সঙ্গে যোগ দেন স্টার্কও।
পান্তের কাছে ২০৯ রানই যথেষ্ট ছিল, ভিন্নমত ক্লুজনারের
২৫ মার্চ ২৫
৩০ বলে ছয়টি চার ও সাতটি ছক্কায় ৭৫ রান করা নিকোলাস পুরানকে ১৪০ কিমি গতিবেগের বলে বোল্ড করেন স্টার্ক। তারপর ডেভিড মিলার একপ্রান্ত আগলে রেখে এগিয়ে যেতে থাকলেও তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। আইয়ুশ বাদোনি ৪, শার্দুল ঠাকুর শূন্য ও শাবাজ আহমেদ ৯ রানে ফিরে যান। ১৯ বলে অপরাজিত ২৯ রান করে লক্ষ্ণৌকে দুইশ পার করান ডেভিড মিলার।
মার্শ-পুরানের ইনিংসের সময় মনে হচ্ছিল রান বন্যার আইপিএলে আড়াইশ রানে পৌঁছে যাবে লক্ষ্ণৌ। কিন্তু স্টার্ক, কুলদিপ, অক্ষরের নৈপুণ্যে এ দিন খুব বেশিদূর পৌঁছাতে পারেনি দলটি। লক্ষ্ণৌর হয়ে ৪২ রান খরচায় তিন উইকেট নেন স্ট্রার্ক। ২০ রান খরচাইয় দুই উইকেট নেন কুলদিপ। এ ছাড়া ট্রিস্টান স্টাবসের এক ওভারে ২৮ রান নেন পুরান।