ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মিঠুন বললেন, সম্মানহানি নিয়ে ছাড় দিই না
ছবি: চিটাগং কিংসের ভিডিও থেকে
সবার মনে যখন সন্দেহের অবকাশ হয়েছে তখন ‘ফিক্সিং নিয়ে হাঁড়ির খবর ফাঁস! আকু'র নজরদারিতে ১০ ক্রিকেটার।’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের বেসরকারি চ্যানেল এখন টিভি। প্রতিবেদনে তারা জানায়, ফিক্সিং সন্দেহে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) অন্তত ১০ জন ক্রিকেটার এবং চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়ে তদন্ত করছে। যেখানে ক্রিকেটারদের নামও প্রকাশ করেছে তারা।
বিপিএলে ভালো খেলে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ফাহিম ও খুশদিল
৩ ঘন্টা আগেএনামুল হক বিজয়, থিসারা পেরেরা, আরিফুল হকদের মতো ক্রিকেটারের পাশাপাশি মোহাম্মদ মিঠুনেরও নাম ছিল সেখানে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মিঠুনের বিরুদ্ধে একটি এবং চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে দুটি ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে এসিইউ। ম্যাচ শেষে বাসে উঠে ফোন হাতে নিয়ে এমন খবর শুনতে পান মিঠুন। এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক। মিঠুন জানান, তাকে নিয়ে কেউ সম্মানহানি করলে সেটা তিনি ছাড় দেন না।
চিটাগংয়ের প্রকাশিত এক ভিডিওতে মিঠুন বলেন, ‘ম্যাচ জেতার পর দিনশেষে কিন্তু আমার খুশি থাকার কথা। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাই, আমি শুধু ইউটিউব ফলো করি। এটাই একমাত্র অ্যাপস যেটাতে আমি টুকটাক খবর দেখি। বাসে ওঠার পরে আমি নিউজটা দেখি, আপনি যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোন শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।’
‘বিষয় হচ্ছে আমি জানি আমি কী, আমার পরিবার, বন্ধুরা জানে কিন্তু দুনিয়া জানে না আমি কী। আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আপনি যদি একটা ভিউয়ের জন্যে নিউজ করেন, আপনি হয়ত ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু এটা আমার কাছে ৫০ কোটি টাকার থেকেও বেশি। আমার মানহানি মানে... কারণ এই বিষয়টাতে আমি কখনও ছাড় দিই না। আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে এটা নিয়ে আমি কোন ছাড় দিই না।’
‘বরিশালের বেঞ্চ দিয়ে অন্য দলের চেয়ে ভালো দল বানানো যাবে’
৪ ঘন্টা আগেসবশেষ কয়েক বছর ধরেই আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট থেকে লোক নিচ্ছে না বিসিবি। তবে নিজেদের মতো করে এসিইউ বানিয়ে ফিক্সিং আটকানোর চেষ্টা করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। চলমান বিপিএলে প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে প্রতিনিধি দেয়া হয়েছে। যারা প্রতিটি ক্রিকেটার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের গতিবিধি নজরে রাখছে। যদিও তাদের পুরনো খরচ ফ্র্যাঞ্চাইজি চালানোয় তাদের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে বলে অনেকে মনে করেন।
নিয়ম অনুযায়ী, চিটাগংয়ের সঙ্গেও এসিইউয়ের একজন প্রতিনিধি দেয়া হয়েছে। মিঠুনের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ দেখে চমকে গেছেন সেই প্রতিনিধি। এমন খবর জানিয়েছেন মিঠুন নিজেই। চিটাগংয়ের অধিনায়কও এও জানিয়েছেন, এসিইউয়ের সেই প্রতিনিধিই নাকি তাকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলছেন। মিঠুনের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যদি এমন অভিযোগ থাকতো তাহলে তো সেই ব্যক্তি এমন কথা বলতো না।
মিঠুন বলেন, ‘সামির ভাই যেটা বলল মিডিয়াতে উনারা বলছে আকসু থেকে পেয়েছে। কই আকসু থেকে তো আমার কাছে কোন প্রশ্ন করেনি। আমার নামে যদি কোন অভিযোগ থাকে আকসু তো প্রথমে আসবে আমার কাছে। সে এসে আমাকে বলবে আপনার নামে এই ধরনের অভিযোগ আছে। এই ধরনের কোন বিষয় নিয়ে তো আসেনি। আমাদের দলের সাথেও তো আকসু আছে। প্রত্যেকটা দলের সঙ্গে কিন্তু একজন করে আকসু প্রতিনিধি আছে। আমাকে প্রথম অ্যাপ্রোচ করেছে আমাদের দলের সঙ্গে যিনি (আকসু প্রতিনিধি) আছেন তিনি।’
‘উনি এসে আমাকে বলেছে ভাইয়া আমি খুব লজ্জিত অনুভব করছি। আপনি এটার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান। উনার যদি আমার প্রতি ওতটুকু বিশ্বাস না থাকত তাহলে উনি এ কথা বলতো না। আমার বিশ্বাস তো আমি জানি কী বিশ্বাস আছে। কিন্তু আমাদের দলের সঙ্গে যে প্রতিনিধি দেয়া আছে উনারও আমার প্রতি কতটুুকু বিশ্বাস উনি নিজেই বলছে আপনার জন্য...আমি কিন্তু উনার কাছে যাইনি, উনি এসেছে আমার কাছে। আমি যদি অপরাধী হই বা আমার মাঝে যদি এমন কিছু উনি দেখে তাহলে অবশ্যই উনি এসে আমাকে এই কথা বলতো না।’