বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যুতে বিসিবি ও ফ্র্যাঞ্চাইজির 'দোষ' দেখছেন তামিম
ছবি: সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল, বিসিবি
২০১৩ সালের বিপিএলে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে বিসিবির হস্তক্ষেপে সেবার এই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। এবারের বিপিএলেও একাধিক দলের বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক না দেয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
প্লে অফে চিটাগং, হার দিয়ে বিপিএল শেষ সিলেটের
৩ ঘন্টা আগেযদিও সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে দুর্বার রাজশাহীকে নিয়ে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির একের পর এক চেক বাউন্স হচ্ছে। বিদেশি ক্রিকেটাররা একটি ম্যাচ বয়কটও করেছেন। প্রায় প্রতি দিনই দলটি বিরূপ কোনো কারণে সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম জানিয়েছেন বিসিবির দল দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম বলেছেন, ‘আমিও দেখেছি ২০১২-র ইস্যুটা বারবার আনা হচ্ছে। এটা আসলে ২০১৩ সালে। বোর্ডে যারা এসেছিলেন, আমাকে একটা পেমেন্ট দিয়েছিলেন। ঐ এমাউন্ট ছিল না, তার চেয়ে কম ছিল। তবে সমাধান হয়ে গিয়েছিল। আমি চাই বিপিএল অনেক ভালো করুক, অনেক নাম করুক। একটা সময় আমরা অনেক দ্রুত আগাচ্ছিলাম। যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিচ্ছেন খুব সতর্ক হওয়া উচিত, কাকে দল দিচ্ছেন কাকে দল দিচ্ছেন না। দিনশেষে একটা দল যদি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতে না পারে। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অতীতে এমন হয়েছে ৫০ শতাংশ বাকি, শেষপর্যন্ত দর কষাকষি করে ২৫ শতাংশ দিয়ে খুশি হয়ে চলে যায়। দোষ তো খেলোয়াড়দের না। ওরা তো ১৬ ম্যাচ ভালো করে। দোষ হলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বিসিবির। ওরা এই দর কষাকষি কেন খেলোয়াড়দের সাথে করে? এখনও শেষ হয়নি। আশা করি সমাধানের চেষ্টা করবেন। এমন যেন না হয়। এটা শুধু বিপিএলকেই ছোট করে না। দেশের ব্যাপারেও বাজে বার্তা দেয়। অনেক বিদেশি ক্রিকেটার আসতে চায়। এসব হলে সমস্যা হয়ে যায়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিকঠাক বেছে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।'
বিপিএলে পারিশ্রমিক নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। অনেক বিদেশি ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্ট থেকে মুখও ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে ফরচুন বরিশাল এসব ব্যাপারে খুবই সতর্ক বলে জানিয়েছেন তামিম। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে বিপিএল আরও জনপ্রিয় হবে বলে বিশ্বাস তামিমের।
খুশদিলকে মিস করবে রংপুর
৪ ঘন্টা আগেতিনি বলেছেন, ‘আমি সুবিধা পেয়ে যাই কারণ গত ৪-৫ বছর ধরে ফরচুন বরিশাল এসব দিক থেকে খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে। ওদেরও বিশ্বাস হয়ে যায়, অন্য যারা খেলে যায় ওরাও কথাবার্তা বলে। এই টুর্নামেন্ট অনেক উন্নতি করতে পারবে। যে পরিমাণ দর্শক এবার আসল, গত ২-৩ মৌসুমে দেখিনি। কাজগুলো ঠিকঠাক করলে, সঠিক মানুষ বেছে নিলে এই টুর্নামেন্টের অনেক সম্ভাবনা আছে।’
একই সময়ে বিগ ব্যাশ, আইএল টি-টোয়েন্টি চলার কারণে বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য। তাই তামিম মনে করেন প্রথম কয়েক আসরের মতো অক্টোবর-নভেম্বরেই বিপিএলে আয়োজন করা হোক। বছরের এই সময়টায় আবুধাবি টি-টেন ছাড়া আর কোনো ফ্যাঞ্চাইজি লিগ চলে না। এই এটাকেই উপযুক্ত সময় মনে করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিপিএলের প্রথম শিডিউল ছিল অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে। এটা ভালো সময় ছিল। এ সময় এসএ-টোয়েন্টি ও আইএলটি-টোয়েন্টি এই দুই মেজর লিগের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। একবার সূচি পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ দলের খেলা থাকায়। এ ছাড়া ঐ সময়েই হতো। কারণ তখন তেমন খেলা থাকে না। তখন শুধু হয়ত আবুধাবি টি-টেন। একটা টুর্নামেন্টের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া দুটার চেয়ে ভালো। ’
তামিম যোগ করেন, ‘দুই বিদেশি না, আমার মতে চার বিদেশিই ঠিক আছে। পিএসএলে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বিদেশি খেলতে যায়। অথচ পিএসএলে দল ছিল পাঁচটি। ওখানে ক্রিকেট কোয়ালিটি এতটাই ভালো। আমরা ৭-৮টি দিয়ে শুরু করেও… খেলোয়াড়রা বলতে পারে দল বেশি থাকলে লোকাল প্লেয়ারদের খেলার সুযোগ বাড়ে। তবে দল কম হলে প্রতিযোগিতাও তো বাড়ে। এনসিএল, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার ক্ষুধা বাড়বে। আমার মতে ৬ দলের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। ৫ দল হলে ভালো হয়।'