জুজু কাটিয়ে মিরাজের ব্যাটে জিতল খুলনা

ছবি: খুলনা টাইগার্সের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় খুলনাকে দারুণ শুরু এনে দেন মিরাজ ও নাইম। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লের পুরোটা সময় দাপট দেখিয়েছে খুলনা। যদিও পাওয়ার প্লে শেষের আগেই ফিরতে পারতেন আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা মিরাজ। তবে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে আরিফুল হক ক্যাচ নিতে না পারায় জীবন পান তিনি। জীবন পেয়ে সেটা কাজেও লাগিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
‘সে ভীষণ বিপজ্জনক’, বুমরাহর স্ত্রীকে মিরাজ
২০ ফেব্রুয়ারি ২৫
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর নাইমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নিহাদ উজ জামান। বাঁহাতি স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায় কাদিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২০ রান করা নাইম। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। সামিউল্লাহ শেনওয়ারির বলে চার মেরে ২৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন খুলনার অধিনায়ক। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে তিনে নামলেও সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেন।
সামিউল্লাহর ছক্কা মারার মতো ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩ রান করা এই ব্যাটার। মাঝে সিলেটের স্পিনাররা চেপে ধরায় রান তোলার গতি কমে যায়। শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করলেও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি মিরাজের। ৭০ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন নিহাদের বলে টিপু সুলতানকে ক্যাচ দিয়ে। ভালো শুরু পেলেও জয় পাওয়ার একটু আগে ফিরেছেন ১৭ রান করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। পরবর্তীতে অ্যালেক্স রস ও উইলিয়াম বসিস্তো মিলে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই রনি তালুকদারের উইকেট হারায় সিলেট। মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আমের জামালকে ক্যাচ দিয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। রনি ফেরার পর জুটি গড়ে তোলেন জাকির হাসান ও জর্জ মানজি। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লে’তে দাপট দেখায় সিলেট। যেখানে প্রথম ছয় ওভারে আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান তোলে তারা।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মিরাজের উপর ঝড় তুলেছিলেন মানজি। সেই ওভার থেকে এসেছিল ২৩ রান। একেবোরে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা বাঁহাতি ওপেনার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ২৮ বলে। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আবু হায়দার রনিকে ছক্কা মারার পরের বলেই স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন। স্কটিশ ওপেনার ফিরেছেন ৫৮ রানের ইনিংস খেলে।
ইমপ্যাক্ট নয়, কে কত রান করেছে মানুষ এটাই দেখে: অঙ্কন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
মানজি ফেরার পর কাদিম, জাকের, আরিফুল, সামিউল্লাহদের কেউই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। অন্য প্রান্তে টিকে থাকা জাকির ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই। আবু হায়দারের বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৪৪ রানের ইনিংস খেলা জাকির। খুলনার বোলারদের তোপে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট ১৫২ রান তোলে সিলেট। খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, আবু হায়দার ও সালমান ইরশাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৫২/৯ (২০ ওভার) (মানজি ৫৮, জাকির ৪৪,সুমন ১২; রনি ২/২৭, ইরশাদ ২/২৪)
খুলনা টাইগার্স- ১৫৬/৪ (১৯.৫ ওভার) (মিরাজ ৭০, নাইম ২০, আফিফ ৩, রস ২০*, বসিস্তো ১৯*, অঙ্কন ১৭; নিহাদ ২/২৫)