গেইলের ছক্কার রেকর্ড ভাঙা নিয়ে ভাবছেন না তানজিদ
ছবি: বিপিএলের এক মৌসুমে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সবচেয়ে ছক্কার রেকর্ডে সবার উপরে তানজিদ হাসান তামিম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
৯ ম্যাচে ২২ ছক্কা নিয়ে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তানজিদ। বিপিএলের সবশেষ মৌসুমে ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২৪ ছক্কা মেরেছিলেন হৃদয়। এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার ক্ষেত্রে হৃদয়ের রেকর্ড ভাঙতে তিনটি ছক্কা মারতে হতো তানজিদকে। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে খালেদ আহমেদের বিপক্ষে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন তিনি।
চিটাগংকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে ঢাকা
৬ ঘন্টা আগেপরের ওভারের শরিফুল ইসলামকে ছক্কা মেরেছেন বোলারের মাথার উপর দিয়ে। পরের বলে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে হৃদয়কে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। চিটাগংয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংস খেলার দিনে ৭ ছক্কা মেরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাতে পেছনে ফেলেছেন নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল এবং এভিন লুইসের মতো তারকাদের। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ২৮ ছক্কা মেরেছিলেন পুরান। একই মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে সমান ২৮ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রাসেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারের ঠিক নিচেই আছেন ২০১৭-১৮ মৌসুমে ডায়নামাইটসের হয়ে ২৭ ছক্কা মারা লুইস। তানজিদের উপরে আছেন কেবল গেইল। ১০১৭-১৮ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৪৭ ছক্কার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। গেইলের রেকর্ড ভাঙতে হলে এই মৌসুমে ১৯ ছক্কা মারতে হবে তানজিদকে। সেটার জন্য সর্বোচ্চ দুই থেকে পাঁচ ম্যাচ পেতে পারেন তিনি। যদিও সেটা প্লে অফ, কোয়ালিফায়ার পেরিয়ে ফাইনালে উঠতে পারলে। যদিও গেইলের রেকর্ড ভাঙা নিয়ে ভাবছেন না বাঁহাতি এই ওপেনার।
চিটাগংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তানজিদ বলেন, ‘আমি কখনই এভাবে চিন্তা করি না। আমাদের সামনে শুধুমাত্র দুইটা ম্যাচ আছে, দুইটা ম্যাচ আমরা কিভাবে ভালো শেষ করতে পারবো সেটাই পরিকল্পনা থাকবে আমাদের। সবাই সেভাবেই চিন্তা করছে। যদি হয়ে যায় হয়ে যেতে পারে। আমি স্বাভাবিক যে পরিকল্পনায় খেলি একই পরিকল্পনায় খেলার চেষ্টা করব।’
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ঢাকার কাছে হারল সিলেট
২০ জানুয়ারি ২৫বাংলাদেশের ব্যাটাররা বিপিএলে ছক্কা মারায় পটু না হলেও বিপিএলে মাত্র ২৪ ম্যাচে ৫০ ছক্কা মেরেছেন তানজিদ। এত ছক্কা মারার রহস্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার কোন রহস্য নেই, আমি আমার ন্যাচারালি এরকম খেলি। অনুশীলনে চেষ্টা করি নিজের যেটা শক্তির জায়গা সেটা নিয়ে কাজ করার এবং ম্যাচে যে ভুলগুলো হয় সেগুলো নিয়ে কাজ করার। এটার কোন রহস্য নেই।’
ঢাকার হয়ে ১০ ম্যাচে ৪৬.৬৬ গড় ও ১৪৩.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ৪২০ রান করেছেন তানজিদ। যেখানে তিনটি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে একটি সেঞ্চুরিও আছে। আরও একটা সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। চিটাংয়ের বিপক্ষে ৫৪ বলে খেলেছেন অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি না পেলেও সেটা নিয়ে আক্ষেপ করছেন না তানজিদ। বাঁহাতি এই ব্যাটার জানান, ইনিংসটা শেষ করতে পারাতেই তিনি খুশি।
এ প্রসঙ্গে তানজিদ বলেন, ‘না, এরকম মনে হয়নি যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। হয়তবা হতেও পারতো কিন্তু এটা আমার হাতে নেই। ইনিংসটা শেষ করতে পেরেছি এটাই ভালো লাগছে নিজের কাছে।’