মাহমুদ ভাই বলেছিলেন শুধু টিকে থাকো: ফাহিম

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম আশরাফ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ফাহিম জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহ তাকে শুধু টিকে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ শুরুতে ৭-৮ বলে মাত্র ১ রান ছিল ফাহিমের। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি।
ইমপ্যাক্ট নয়, কে কত রান করেছে মানুষ এটাই দেখে: অঙ্কন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা করে ফাহিম বলেছেন, 'মাহমুদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই ম্যাজিক! প্রথম ৬-৭ বলে আমি মাত্র ১ রান করলাম। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, “কী হয়েছে?” তিনি আমাকে বললেন, “তুমি শুধু টিকে থাকো।” এ রকম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে ব্যাপারটা ভালো। অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। চাপ সামাল দেওয়া যায়। সব কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।’
৭.৪ ওভারে তখনো ফরচুন বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮৬ রান। এরই মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বরিশাল। সেখান থেকেই ফাহিমকে নিয়ে ম্যাচ বের করে এনেছেন ফাহিম। তাও আবার ১১ বল হাতে রেখেই। ফাহিম জানিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে গিয়েছিল।

ফাহিম বলেন, 'যখন আমরা বোলিং শুরু করেছি আমরাও জানতাম এটা ১৫০-১৬০ রানের উইকেট। যখন ১০ ওভার যায় যখন স্লো বল হচ্ছিল না তখন মনে হচ্ছিল ১৭০ রান হবে। তাদের ইয়াসির খুব ভালো খেলেছে। তাদের এনামুলও ভালো খেলেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট আরও ভালো হয়ে যায়। উইকেট ড্রাই হয়ে যাচ্ছিল, শক্ত হয়ে যাচ্ছিল। প্রথম ইনিংসে যা একটু সফট ছিল।'
বিপিএলে ভালো খেলে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ফাহিম ও খুশদিল
৩১ জানুয়ারি ২৫
বিপিএলের প্রায় নিয়মিত মুখ। এর আগে ঢাকা প্লাটুন, খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে খেলেছেন তিনি। প্রতিবারই বিপিএলে নিজের অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিয়েছেন ফাহিম। এসব অভিজ্ঞতা ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছে বলে জানালেন ফাহিম।
তার ভাষ্য, 'আমি গত বছর খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলেছি। যখন আপনি বিশ্ব জুড়ে খেলতে থাকবেন আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে। যখন আপনার অভিজ্ঞতা থাকবে বিশ্বের যেকোনো কন্ডিশনে খেললে খুব বেশি কষ্ট পোহাতে হবে না। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে দুই ম্যাচ খেলেছিলাম। সব কিছুই আমার মনে আছে। বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেট খেললে আপনার অভিজ্ঞতা হবে কন্ডিশন সম্পর্কেও ধারণা হবে।'
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাহিম খেলেছিলেন ৩০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। সেটাই তার ক্যারিয়ার বদলে দিয়েছে বলে মনে করেন ফাহিম। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দারুণ খেলার পর স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন ফাহিম।
সেই ইনিংসের স্মৃতিচারণ করেন ফাহিম বলেন, ‘এমন ভালো ইনিংস খেলতে পারলে আপনি সারা জীবন সেটা মনে রাখবেন। অনুশীলন ম্যাচে খেললেও এমন ইনিংসের কারণে অনেক সময় ক্যারিয়ার ঘুরে যায়। ওই ইনিংস না খেললে ফাহিম হয়তো পাকিস্তানের হয়ে খেলত না। সেই ইনিংসের জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকও হয়েছিল আমার। এমন ইনিংস সারা জীবন মনে রাখার মতো।’