তাসামুলের হাফ সেঞ্চুরির পর নোবেলের দাপট-
কক্সবাজারে পাঁচ উইকেটে ২৪৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বরিশাল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার তাসামুল হক এবং সোহাগ গাজী দলের রানের খাতায় আর ১৫ রান যোগ করতেই এই জুটি ভাঙেন সালাহউদ্দিন শাকিল। ৩৫ রান করা গাজীকে বোল্ড করেন তিনি।
এই দুজনের ৪৮ রানের জুটি ভাঙার পরও মনোবল হারায়নি বরিশাল। তানভির ইসলাম শুন্য রানে ফিরলেও তাওহিদুল ইসলাম রাসেলের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন তাসামুল। রাসেল ১৮ এবং মোজাম্মেল হাসান শাকিল ১২ রানে ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তাসামুল।
১৩১ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তাসামুল। ঢাকার হয়ে ৭৮ রান খরচায় চার উইকেট নেন সুমন খান। সমান রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৬৩ রান তোলে ঢাকা।
তারপর অবশ্য নোবেলের বলে ধরাশায়ী হয় দলটি। ৪৮ বলে ২৪ রান করে বোল্ড হন রনি তালুকদার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে জয়রাজ শেখ করেন ৩২ রান। আনিসুল বোল্ড হন রানের খাতা না খুলেই।
৬৬ রানে তিন উইকেট হারানো দলটি ৯৮ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায়। আশিকুর রহমান শিবলি ৮২ বলে ২৫ এবং সুমন খান ৪৭ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
নাসিরের হাফ সেঞ্চুরিতে জিতল রংপুর-
দিনের আরেক ম্যাচে বিনা উইকেটে ১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে রাজশাহী। এ দিন ওপেনিং জুটিতে ৪৮ রান পেলেও এরপর থেকে রবিউল হক, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং মেহেদী হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে পড়ে ঘরের মাঠে খেলতে থাকা রাজশাহী।
৪১ বলে ৩২ রান করা নাঈম আহমেদকে বোল্ড করেন মেহেদী। এরপর সাকিব শাহরিয়ার এবং প্রিতম কুমার রানের খাতা খোলার আগে ফিরে যান। দলীয় ৮০ রানের মধ্যে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাব্বির রহমানও (১৩)।
দলটির হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাব্বির হোসেন। শেষদিকে সানজামুল ইসলামের ব্যাটে আসে ২০ রান। রংপুরের হয়ে রবিউল ও মুগ্ধ নেন তিনটি করে উইকেট। চারটি উইকেট নেন মেহেদী।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানে চার এবং ৫৯ রানের মধ্যে পাঁচটি উইকেট হারায় রংপুর। মিম মোসাদ্দেক ১৮, নবিন ইসলামরা ১২ রানে ফিরলেও রংপুর মূলত জিতে নাসিরের ফিফটিতে।
৬৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির। সঙ্গী তানভির হায়দার ৩৪ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আব্দুর রহিম এবং শফিকুল ইসলাম। একটি উইকেট নেন সাব্বির হোসেন।