হাতেগোনা কিছু সুযোগ পেলেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটারও। বাংলাদেশের জার্সিতে ক্যারিয়ার রঙিন না হলেও ঘরোয়া সবসময় ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছেন তিনি। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চারদিনের ম্যাচে অবশ্য ভালো করতে পারছেন না শামসুর। দুই দশক ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শামসুর ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এনসিএলের শেষ রাউন্ড দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন তিনি।
২০০৫ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের জার্সিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় শামসুরের। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট একাডেমি, বাংলাদেশ ‘এ’ দল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ, সেন্ট্রাল জোন, সাউথ জোন, বরিশাল বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এখনো পর্যন্ত ১৫৯ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন শামসুর।
২৩ সেঞ্চুরি ও ৪৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৬.৪০ গড়ে ৯ হাজার ৫৭৪ রান করেছেন ৩৭ বছর বয়সি এই ব্যাটার। ২০১৪ সালে বিসিএলে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা ২৬৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ওই ম্যাচেই বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে একদিনে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২২৯* রান করেছিলেন। দুইয়ে আছেন ২০০০ সালে বিমানের হয়ে খেলা ইমরান ফরহাত। একদিনে সর্বোচ্চ ১৯৫ রান করেছিলেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শামসুর সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন ২০১৫-১৬ মৌসুমে। সেবার ৫১.৭১ গড়ে ১২ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ১ হাজার ৮৬ রান করেছিলেন। পাঁচ সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ব্যাটারের সেরা ইনিংস ছিল ১৪৪ রানের। এক মৌসুমে শামসুরের চেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড আছে শাহরিয়ার নাফীস, অলক কাপালি, লিটন দাস এবং তুষার ইমরানের। যেখানে দুবার এক হাজারের বেশি রান করার কীর্তি আছে তুষার ও শাহরিয়ারের।
ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়ে ৬ টেস্ট খেলেছেন শামসুর। ২৫.৪১ গড়ে ১২ ইনিংসে ৩০৫ রান করেছেন তিনি। একটি সেঞ্চুরিও আছে ডানহাতি এই ব্যাটারের। এ ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওয়ানডে এবং ৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শামসুর। ওয়ানডেতে ২৬৬ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৮৬ রান করেছেন।