বরিশালের ব্যাটিং বিপর্যয়, শুভাগত-আরিফের স্পিনে ময়মনসিংহের লিড

ঘরোয়া
বরিশালের ব্যাটিং বিপর্যয়, শুভাগত-আরিফের স্পিনে ময়মনসিংহের লিড
ফাইল ছবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
প্রথম ইনিংসে রংপুর বিভাগকে খুব বেশি রানের লিড নিতে না দিলেও ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বরিশাল বিভাগের। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে মাত্র ৯০ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে তারা। বরিশালের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে রংপুরের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ভিন্ন আরেকটি ম্যাচে চারটি করে উইকেট পেয়েছেন শুভাগত হোম চৌধুরি ও আরিফ আহমেদ। তাদের দুজনের স্পিন ঘূর্ণিতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ময়মনসিংহ।

রিশাদের ৩ উইকেট, বরিশালের ব্যাটিং বিপর্যয়

বগুড়ায় দুই উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামেন নবীন ইসলাম ও নাইম ইসলাম। তবে তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি ইফতেখার হোসেন ইফতি। ৮২ বলে ২৬ রান করে আউট হয়েছেন নবীন। একটু পর মীম মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে রংপুরকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন নাইম। লম্বা সময় টিকে থাকলেও প্রত্যাশিতভাবে রান করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। দলের রান একশ ছোঁয়ার আগেই আউট হয়েছেন তিনি। ৯৫ বল খেলা নাইম ফিরেছেন ২১ রানে।

ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলেন মীম মোসাদ্দেকও। তবে হাফ সেঞ্চুরির আগে তাকে ফিরিয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত মিশু। বরিশালের পেসারের বলে ইফতেখারকে ক্যাচ দিয়েছেন ৮৩ বলে ৩৭ রান করে। মীম মোসাদ্দেকের মতো ভালো শুরু পাওয়া নাসির হোসেনও ফিরেছেন ৫৩ বলে ৩৭ রান করে। শেষের দিকে তানবীর হায়দার ৩০ এবং রিশাদ করেছেন ১৭ রান। তাদের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ২০২ রান করে অল আউট হয় রংপুর।

প্রথম ইনিংস ৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বরিশাল। জাহিদুজ্জামান খান, ইফতেখার, ফজলে মাহমুদ রাব্বি সালমান হোসেন ইমন, শামসুর রহমানরা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ৭ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বরিশাল। ৮৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামবে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করে অপরাজিত আছেন তাসামুল হক। রংপুরের হয়ে ৬ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। এ ছাড়া মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ দুইটি এবং মেহেদী হাসান একটি উইকেট পেয়েছেন।

শুভাগত-আরিফের স্পিনে ময়মনসিংহের লিড

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮৮ রানে অল আউট হয় ময়মনসিংহ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করে চট্টগ্রাম বিভাগ। পারভেজ হোসেন ইমন ও সাদিকুর রহমান শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেন। তাদের দুজনের জমে ওঠা ৫৮ রানের জুটি ভাঙে ১৮ রান করা সাদিকুরের বিদায়ে। আগের রাউন্ডে সেঞ্চুরি পাওয়া শাহ পরান আউট হয়েছেন ৬ রানে।

দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির পেলেও ৭৫ বলে ৪৬ রান করে আরিফের বলে আউট হয়েছেন পারভেজ ইমন। ভালো শুরু পেয়েছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারিও। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২০ বলে ১৮ রান করে ফিরেছেন শামীম। দ্রুতই আউট হয়েছেন ইরফান শুক্কুর, নাঈম হাসানরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি করেন শাহাদাত হোসেন দিপু। চট্টগ্রামের অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৮৭ বলে ৬৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে অল আউট হয় চট্টগ্রাম।

ময়মনসিংহের হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার শুভাগত ও আরিফ। ৭৮ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নামে ময়মনসিংহ। নাইম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিনের ব্যাটে ভালো শুরু পায় তারা। তাদের দুজনের ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৭৫ বলে ৩৩ রান করা নাইমের বিদায়ে। আরেক ওপেনার মাহফিজুল ফিরেছেন ৬৩ বলে ৩৬ রান করে। আজিজুল হাকিম তামিম ও আব্দুল মজিদ অপরাজিত আছেন। ২ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবে ময়মনসিংহ। এখনো চট্টগ্রামের চেয়ে ১৬০ রানে এগিয়ে তারা।

আরো পড়ুন: এনসিএল