ভিন্ন আরেকটি ম্যাচে জয়ের সুযোগ আছে রাজশাহী বিভাগেরও। প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে অল আউট হওয়া বরিশাল বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো করতে পারেনি। ফজলে মাহমুদ রাব্বির সঙ্গে শামসুর রহমান শুভ, তাসামুল হক, মইন খানদের ছোট ছোট ইনিংসে ২৬৮ রান তুলেছে তারা। জয়ের জন্য ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বিনা উইকেটে ৫ রান করেছে রাজশাহী বিভাগ। জিততে হলে শেষ দিনে আরও ২৪১ রান করতে হবে তাদের।
চট্টগ্রামে জয়ের সুবাস পাচ্ছে খুলনা
৮ উইকেটে ২৪৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৮১ রানে অল আউট হয়েছে খুলনা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ৮০ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি স্বাগতিকরা। সাদিকুর রহমান, পারভেজ ইমন, সাব্বির হোসেন সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করা শাহ পরাস আউট হয়েছেন ১৯ বলে ১১ রান করে। আবারও ব্যর্থ হয়েছেন দিপু। ৪০ বলে মাত্র ৮ রান করেছেন।
প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা শুক্কুর ৪ রান করে ফিরে গেছেন। তবে শেষের দিকে চট্টগ্রামের হাল ধরেন নাঈম ও মেহেদী হাসান। তাদের দুজনের ব্যাটেই দেড়শর কাছে যায় চট্টগ্রাম। ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৬১ রানের ইনিংস খেলে। মেহেদীর ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ রান। চট্টগ্রাম ১৬৬ রানে অল আউট হলে ২৩৭ রানের লক্ষ্য পায় খুলনা। অমিত মজুমদার ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে বিনা উইকেটে ৫২ রান তুলেছে খুলনা। জয়ের জন্য এখনো ১৮৫ রান প্রয়োজন তাদের।
রাজশাহীর চাই ২৪১ রান, বরিশালের ১০ উইকেট
রাজশাহীর চেয়ে ২৩ রানে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ১ উইকেটে ২২ রান তোলে বরিশাল। তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই জাহিদুজ্জামান খানের উইকেট হারায় তারা। পরবর্তীতে সালমান হোসেন ও ফজলে রাব্বি মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তাদের দুজনের ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন সানজামুল ইসলাম। ৭৯ বলে ১৬ রান করে ফেরেন সালমান। এরপর শাসসুর ও ফজলে রাব্বি টেনেছেন বরিশালকে।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ফজলে রাব্বি। পঞ্চাশ ছোঁয়া বাঁহাতি ব্যাটার ৬৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন সানজামুলের বলে। পরবর্তীতে বরিশালের হয়ে শামসুর ৩২, তাসামুল ৩৯ এবং মইন ৪০ রান করেছেন। তাদের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ২৬৮ রানের পুঁজি পায় বরিশাল। লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫ রান তোলেন রাজশাহীর মিজানুর রহমান ও সাব্বির হোসেন। জিততে হলে শেষ দিনে ২৪১ রান করতে হবে রাজশাহীর। বিপরীতে বরিশালের চাই ১০ উইকেট।